অগস্টে শুরু কালনা-শান্তিপুর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ
এই সময় | ১৬ জুলাই ২০২৪
এই সময়, কালনা: ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর কালনা শহরের অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামের মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ভাগীরথীর উপরে কালনা ও নদিয়ার শান্তিপুরের মধ্যে সেতু তৈরির কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে। কিন্তু তার পর কালনার দিকে সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় জমির ৯৭ শতাংশ কেনা হয়ে গেলেও এখনও শুরু হয়নি সেতুর কাজ।তবে সেতু ঘিরে আশার আলো দেখা দিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অগস্ট মাসেই শুরু হতে চলেছে সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ। তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে পূর্ত দপ্তর। কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল জানান, সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই।
কালনা ফেরিঘাটে ভবাপাগলার মেলা ফেরত যাত্রীবোঝাই নৌকা উল্টে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। তার পর রাজ্য সরকার এই এলাকায় সেতুর প্রয়োজনীতা অনুভব করে সেতু তৈরিতে উদ্যোগী হয়। এই সেতু গড়ে উঠলে দু’পাড়ের এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা যেমন বদলে যাবে তেমনই দুই পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের একদিকে থাকা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং অন্য পাড়ে থাকা এসটিকেকে রোডের মধ্যে যোগাযোগও সহজ হয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী কালনায় জনসভায় এসে সেতুর কাজ শেষের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়সীমার মধ্যে সেতুর কাজ শুরু না হলেও মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রশাসনিক সভায় এসে একাধিকবার সেতুর কাজ যে এগোচ্ছে তা জানিয়েছিলেন। ২০২২ সালের মধ্যে চার মৌজার ৯৭ শতাংশের বেশি জমি কেনার কাজ শুরু হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জমির ৯০ শতাংশ পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা যায়। কাজ শুরুর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। সেতুর জন্য সরকার যে জমি কিনেছে সেই জমি মালিকদের জমি খালি করে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি আবেদনও করেছে প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার কালনা-২ ব্লকের পূর্ব সাতগাছিয়ায় এমন জমি বিক্রেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করে প্রশাসন।
তাতে ছিলেন কালনা-২ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও, বিএলআরও, পঞ্চায়েত প্রধানরা। বৈঠকে একমাসের মধ্যে জমি খালি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এর পরই জানা গিয়েছে, সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে টেন্ডারের প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ।