এই সময়, খড়দহ: রবিবার রাতে খড়দহ স্টেশন লাগোয়া লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার তদন্তে একটি গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ধৃত গাড়ি চালকের নাম অমল সরকার। আর এক গাড়ির মালিকের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। যদিও রবিবার রাতের দুর্ঘটনার জন্য রেলকেই দায়ী করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।তবে এ দিনও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'রেলগেট বন্ধ হওয়ার সময়ে ওই দু'টি গাড়িই জোর করে ঢুকে পড়েছিল।' রেলের বক্তব্য, ওই দুই ড্রাইভারের অযথা হুড়োহুড়িতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে খড়দহ স্টেশন লাগোয়া লেভেল ক্রসিংয়ের বুম বার পড়ার সময়ে দুটো গাড়ি ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ।
বিটি রোডের দিক থেকে গাড়ি দুটো ঢুকলেও রহড়ার দিক দিয়ে আর বেরোতে পারেনি। কারণ ততক্ষণে ওই দিকের বুম বার পড়ে গিয়েছিল। একটি গাড়ি বুম বারের গা ঘেঁষে দাঁড়ালেও পরের গাড়িটির পিছনের খানিকটা অংশ রেল ট্র্যাকের উপরেই থেকে যায়। আটটা চল্লিশে ডাউন হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস সেই গাড়ির পিছনের অংশে ধাক্কা মারে।
বিপদ বুঝে দুই গাড়ির ড্রাইভার আগেই নেমে পড়েছিলেন। তাই হতাহতের কোনও খবর হয়নি। ট্রেনটিও খানিক এগিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে রেলের তরফে এফআইআর দায়ের হয়। এ দিন একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'এক গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য গাড়ির মালিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনত পদক্ষেপ করা হবে।'
যদিও স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, গেটম্যানের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ও রেলের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, 'রেলের সিস্টেম কাজ করছে না। রেলকে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। রেল নিয়ে লোকসভায় সরব হব।'
উল্লেখ্য, স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই খড়দহে ফ্লাইওভার বা আন্ডারপাসের দাবি জানিয়ে আসছেন। শুক্রবারের দুর্ঘটনার পরে সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, প্রতিটি নির্বাচনে খড়দহ ফ্লাইওভার রাজনৈতিক ইস্যু হলেও কেন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না?