নিয়োগ মামলায় ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরির ভাগ্য ঝুলে রইল। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় ঠিক কী নির্দেশ দেয়, সেই দিকে ছিল সব নজর। কিন্তু, এই মামলার পরবর্তী শুনানি সুপ্রিম কোর্টে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। ফলে চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় এখনও ভাগ্য ঝুলে রইল প্রায় ২৬ হাজার জনের।সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়েছে, এই মামলায় পাঁচ পক্ষ- রাজ্য, এসএসসি, মূল মামলাকারী, চাকরিহারা এবং সিবিআই-এর বক্তব্য তারা শুনবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই বক্তব্য জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল ২০১৬ সালের নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। গত ৭ মে কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন, 'কেন সুপারনিউমেরিক পোস্ট তৈরি করতে চাওয়া হয়েছিল?' এর জবাবে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নেপথ্যে রাজ্যের কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। এরপর মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ দেওয়া হয়ছিল ১৬ জুলাই। কিন্তু, এদিন মামলাটি পিছিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছিলেন চাকরিহারারা। তাঁদের একাংশের বক্তব্য ছিল, 'কিছু অযোগ্যদের জন্য কেন বাকি যোগ্যদের ভুগতে হবে?' ১৬ জুলাইয়ের দিকে তাকিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, এই মামলা পিছিয়ে যাওয়ার পর এই শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, 'আমাদের বিচারব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।' প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এই চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে রাজ্য। প্রয়োজনে যতদূর আইনি লড়াই করা যায়, তা করা হবে।
সেই মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিল রাজ্য। অন্যদিকে, বিজেপির তরফেও একটি বিশেষ সেল খোলা হয় যেখানে 'যোগ্য'-দের আইনি সাহায্য়ের কথা বলা হয়েছিল। এখন এই চাকরি বাতিল মামলায় কী রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট? সেই দিকেই সব নজর।