এদিকে উপত্যকায় এখনও যৌথবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে। গত বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্ত উপত্যকা। গত সপ্তাহে কাঠুয়াতে জঙ্গি হামলায় পাঁচজনের মৃত্যুর পর এটাই দ্বিতীয় বড় হামলা। জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় প্রবেশ করে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। সেই হামলার মোকাবিলায় সক্রিয় যৌথ বাহিনীর জওয়ানরা। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় একজন প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেন,”রাতে প্রায় ৯টার দিকে সন্ত্রাসবাদীদের মুখোমুখি হয় নিরাপত্তারক্ষীরা। জঙ্গিরা ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে। ঘটনার তাৎক্ষণিক রিপোর্ট, আমাদের সাহসী হৃদয়ে আঘাত হানে।”
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোটা উরারবারির দেশা জঙ্গলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা। রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা সেই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। জঙ্গিদের হদিশ মিলতেই শুরু হয়ে যায় লড়াই। প্রথমে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা গুলি চালাতে শুরু করে। বেগতিক বুঝে জঙ্গিরাও পাল্টা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। সেই গুলিতে গুরুতর জখম হন পাঁচ জওয়ান। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে কাশ্মীর টাইগার্স। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট এই সংগঠনটি জইশ-ই-মহম্মদের শাখা সংগঠন বলে পরিচিত।