• আশ্রমের জমি দখলকে কেন্দ্র করে আক্রান্ত সন্ন্যাসী, চিকিৎসাধীন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ জুলাই ২০২৪
  • নারায়ণ সিংহ রায়: জমি দখলকে কেন্দ্র করে আক্রান্ত এক সন্ন্যাসী। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। জানা যায়, শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন গৌড়ীয় বেদান্ত সমিতির ৫ কাঠা জমি রয়েছে। সেই জমি আশ্রমের প্রাক্তন মহারাজ ব্যাসদেব মহারাজের নামে রয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৫ সাল থেকে পদ্মানন্দ মহারাজ সেই আশ্রমে থাকেন। সেই আশ্রমের জমি নিয়েই বিবাদ শুরু হয় স্থানীয় অবিনাশ রায় ও তার মায়ের সঙ্গে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবিনাশ রায়ের মা সরদিনী রায় একসময় সেই আশ্রম দেখাশোনার কাজ করতেন। পরবর্তীতে ব্যাসদেব মহারাজের মৃত্যুর পর সেই আশ্রম পদ্মানন্দ মহারাজ দেখাশোনা করেন। আর সেই আশ্রমেরই জমি দখলকে কেন্দ্র করে অবিনাশ রায়ের হাতে আক্রান্ত হন স্বামী পদ্মানন্দ মহারাজ।

    অন্যদিকে অবিন্যাস রায় কে পাওয়া না গেলেও যোগাযোগ করা গেল তার মা সরদিনী রায়ের সাথে। সংবাদ  মাধ্যমকে তিনি জানান, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তাদের উপর করা হচ্ছে। উল্টো সন্ন্যাসীই তাকে মারধর করেছে, এমনকি তার ছেলে বাধা দিতে গেলে তার ছেলেকেও মারধর করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরেই মন্দিরের পুজো সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ চলছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে জমি দখলের অভিযোগ, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানালেন  তিনি।

    অন্যদিকে সেই মন্দিরের আরেক সন্ন্যাসী জানান, অবিনাশ রায় ও তার মা দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরে জমি দখল করার বিভিন্ন রকম চেষ্টা করে আসছে। এর আগেও এই সন্ন্যাসীকে একাধিকবার মানসিক ও শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। রবিবার মন্দিরের সদর দরজা বন্ধ করে তাকে ভেতরে ঢুকিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, কিছুদিন যাবত শিলিগুড়িতে মন্দির আশ্রম এর জমি দখল করার একটা চক্র তৈরি হয়েছে। এর আগে ডাব গ্রাম ফুলবাড়ী এলাকার রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সামান্য একজন ডেকোরেটরের কর্মী হয়ে প্রদীপ রায় কি এত টাকা ইনভেস্ট করতে পারবে। এই ঘটনাগুলিতে যাদেরকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে আদতে এদের পেছনে অন্য মদত দাতা রয়েছে। যারা এই ধরনের কাজ করাতে এদের মদত যোগাচ্ছে।

    এই বিষয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ঘটনার কথা শুনেছেন। দুপক্ষের তরফ থেকেই থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিস পুলিসের মত তদন্ত করছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)