ওই হোয়াটসঅ্যাপের সূত্র ধরে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। আসল অভিযুক্তের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিস। শেষপর্যন্ত ছাড়া পেয়ে যায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি। আর সেই থেকেই বৃদ্ধ বাবা ঘুরছেন প্রশাসনের দরজায় দরজায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তিকে নিয়ে চলছে পিংপং খেলা। অভিযোগ, অভিযোগ, কখনও কিছু আইনজীবী ছেলে খুঁজে দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। দফায় দফায় পুলিস হাতিয়েছে মোটা টাকা। এমনকি গরিবকে কম্বল বিতরণের জন্য হাজার দশেক টাকা দিলে ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার নাম করেও বৃদ্ধের পকেট ফাঁকা করেছেন তথাকথিত সমাজ সেবীরা। আর কার্যত নিঃস্ব হয়ে যাওয়া বাবা এখন ছেলের খোঁজ পেতে থানায় গেলেই শুনতে হচ্ছে জেলে ভরে দেওয়ার হুমকি। কারণ এখন পুলিসের পকেট ভরানোর মতো তার পয়সা নেই।
ছেলেকে আর ফিরে পাননি ওই বৃদ্ধ। হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। পুলিসের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। তারপরে আর সেই মামলা তালিকায় ওঠেনি। ফলে মঙ্গলবার বৃদ্ধ নিজেই আর্তি নিয়ে হাইকোর্টে এসেছিলেন। বিচারপতির কাছে মামলা তালিকায় তোলার জন্য উত্থাপন করতে। যদিও বিচারপতি ভরদ্বাজ এদিন বসেননি।