রাজা দাস, বালুরঘাট: তরুণীকে আদালতে পেশের আগে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর প্রিজন ভ্যানে উঠতে যাচ্ছেন তিনি। হঠাৎ দুষ্কৃতীর হামলা! পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালল চারটি গাড়ি। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হলেন এক অফিসার ও সিভিক ভলান্টিয়ার। না, কোনও হিন্দি সিনেমার দৃশ্য নয়!ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সামনে। তার পরই শহর-সহ জেলা জুড়ে নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও দুষ্কৃতীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৯ বছরের যুবতী ভিন্ন ধর্মের যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। তপন (Tapan Police Station) থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানায় পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ। সেই ঘটনায় থানায় আত্মসমর্পন করেন নিখোঁজ যুবতী। আইন মোতাবেক তাঁকে আদালতে পেশের আগে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরীক্ষার পর হাসপাতাল (Balurghat Hospital) থেকে বেরোতেই একদল দুষ্কৃতী পুলিশকে মারধর করে ঐ যুবতীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট থানার আইসি শান্তি নাথ পাঁজা, ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাজুড়ে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, যুবতীর পরিবারই যুবতীরকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনার পর পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।