• প্রতারণার শিকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ব্যাঙ্ক থেকে খোয়া গেল টাকা
    এই সময় | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • প্রথমে সই নকল করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত নম্বর বদল এবং পরে তার উপর ভিত্তি করেই টাকা সরানো- এবার প্রতারকদের 'মাস্টার জালিয়াতি'-র শিকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক। লালবাজার সূত্রে খবর, সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটির এক অধ্যাপক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন। তাঁর খড়পুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট ছিল। সেই ব্যাঙ্কে তিনি বারবার নিজের ফোন নম্বর পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, খড়গপুর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সেই শাখা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তা সম্ভব নয়। সেই সময় থেকেই অধ্যাপককে নজরে রেখেছিল প্রতারক। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতারক অধ্যাপকের খড়্গপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি।এরপর অধ্যাপক খড়্গপুর আইআইটি থেকে তিনি বদলি হয়ে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর নতুন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন অধ্যাপক। ৮ জুলাই প্রতারক কানাড়া ব্যাঙ্কের যাদবপুর শাখায় আসেন। সেখানে ওই অধ্যাপকের সই নকল করেব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরটি বদল করার আবেদন করেন। তা বদল হলে ইউপিআই আইডি-র মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় সে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে অধ্যাপক ১২ জুলাই অভিযোগ দায়ের করেন যাদবপুর থানায়।

    পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অরিন্দম গুপ্ত। সে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, যাদবপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিক প্রথমে ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক লাগোয়া এলাকার CCTV ফুটেজ পরীক্ষা করে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন। পরে ওই এলাকার হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। সেখান থেকেই চিহ্নিত করা হয় সন্দেহভাজনকে। খড়গপুর থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    লালবাজার সূত্রে খবর, যে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা প্রতারিত ব্যক্তির খোয়া গিয়েছিল তা ফিরে পেয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    উল্লেখ্য, ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তাই সাইবার প্রতারণার আঁচ পেলেই উপভোক্তা ফোন করতে পারবেন ১৯৩০-এই টোল ফ্রি নম্বরে, জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। এর ফলে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। ফলে টাকা গায়েব হওয়া যেমন ঠেকানো সম্ভব, তেমনই কে বা কারা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে? তাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছনোও অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
  • Link to this news (এই সময়)