এই শাক পছন্দ করতেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, নিবেদন করতেন জগন্নাথদেবকে, আপনার বাড়িতেও কি আসে?...
আজকাল | ১৭ জুলাই ২০২৪
বিভাস ভট্টাচার্য :
যত মত তত পথ। জায়গা এবং মত অনুযায়ী দেব-দেবীর ভোগ হয় ভিন্ন ভিন্ন। আরাধ্য দেবতাকে এক এক রকমের ভোগ দিয়ে আরাধনা করেন তাঁর ভক্তরা। বৈষ্ণব বা যারা শ্রীচৈতন্যদেব-এর ভক্ত তাঁরা জগন্নাথদেব-এর ভোগে নিবেদন করেন কচুর শাক। যা পুরীতে দেওয়া হয় না বলেই জানিয়েছেন সেখানকার পান্ডা রবিনা পান্ডা। তাঁর কথায়, শাক দেওয়া হয়। তবে সেটা কচুর শাক নয়।'
মালদার গাজোল ব্লকে পুরুষানুক্রমে জগন্নাথদেবের সেবা করে আসছেন রায় পরিবার। সম্পূর্ণ বৈষ্ণব এই পরিবারটি রথযাত্রা উপলক্ষে তাঁদের বাড়িতে যে ভোগের আয়োজন করেন সেখানে কচুর শাক নিবেদন করা হয়।
পরিবারের কর্তা বিধানচন্দ্র রায় বলেন, 'গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু নিজে কচুর শাক খুব পছন্দ করতেন। তিনি প্রভু জগন্নাথের ভোগে এই শাক নিবেদন করতেন। আমরা যারা তাঁর ভক্ত সেই পথ অনুসরণ করেই জগন্নাথদেবকে যে ভোগ নিবেদন করি সেখানে কচুর শাক থাকে। আমরা রথযাত্রাও করি নবদ্বীপের বৈষ্ণব মত অনুসরণ করে। সেজন্যই সোমবার পুরীতে রথযাত্রা বা উল্টো রথযাত্রা হলেও আমাদের হয়েছে আজ মঙ্গলবার। উৎকল মত-এ পুরীতে জগন্নাথদেবকে আরাধনা করা হয়।'
তাঁর কথায়, গোটা বিশ্বে যারা চৈতন্য মহাপ্রভুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে জগন্নাথদেবের আরাধনা করেন তাঁরা সকলেই ভোগে কচুর শাক দেন। বিধানচন্দ্র বলেন, 'নবদ্বীপে যখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ছিলেন তখনও তিনি জগন্নাথদেবকে কচুর শাক নিবেদন করতেন।' রথযাত্রা উপলক্ষে এই পরিবারটি সাধারণ ভক্তদের জন্যও ভোজের আয়োজন করে থাকে। সেখানে উপস্থিত ভক্তদের পাতে পরিবেশন করা হয় ভাত, ডাল, সব্জি এবং অবশ্যই কচুর শাক। শেষ পাতে থাকে পায়েস ও অন্য মিষ্টি।