প্রথমে গান্ধীগিরি, না হলেই ...., শিয়ালদা স্টেশন চত্বর দখল ও জঞ্জালমুক্ত করতে সিদ্ধান্ত রেলের ...
আজকাল | ১৭ জুলাই ২০২৪
বিভাস ভট্টাচার্য: গান্ধীগিরি, হ্যাঁ এটাই অবলম্বন করবে শিয়ালদা ডিভিশন। স্টেশন চত্বর দখল ও জঞ্জালমুক্ত করতে। তার জন্য এই ডিভিশনের লোকেরা গিয়ে অবৈধ দখলদারদের বোঝাবেন জায়গা ছাড়ার জন্য এবং পাশাপাশি যারা জঞ্জাল ফেলে জায়গা নোংরা করছেন তাঁদের অনুরোধ করবেন জঞ্জাল না ফেলার জন্য। তাতেও যদি কাজ না হয় তবে রেলের আইনে যা আছে সেটা অনুযায়ী চলা হবে।
হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? শিয়ালদা ডিভিশনে কর্মরত এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, 'এই মুহূর্তে শিয়ালদা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন ১২ লক্ষ যাত্রী। মেট্রো রেল যখন হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যাবে তখন প্রতিদিন শিয়ালদা দিয়ে এই পথে যাতায়াত করবেন প্রায় ৮ লক্ষ যাত্রী। ফলে মোট সংখ্যাটা হচ্ছে ২০ লক্ষ। অথচ স্টেশন চত্বরে যত্রতত্র হকার ছাড়াও স্টেশনের বাইরে বেশ কিছু দোকানদার এসে নিয়মিতভাবে স্টেশন চত্বরে জঞ্জাল ফেলে যাচ্ছেন। এটা আটকাতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রথমে আমরা তাঁদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। তাতে যদি কাজ না হয় তবে এসব ক্ষেত্রে রেলের আইনে যা বলা আছে সেই পথেই হাঁটা হবে।'
ইতিমধ্যেই শিয়ালদা স্টেশন চত্বর দখলমুক্ত করতে চেয়ে সহায়তার জন্য কলকাতা পুরসভা ও উত্তর ২৪ পরগণার জেলা শাসককে চিঠি দিয়েছেন শিয়ালদা ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক নিগম। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা থেকে এসে কর্তৃপক্ষকে বলে গিয়েছে জঞ্জাল পরিষ্কার করার দায়িত্ব তারা নিলেও উচ্ছেদের প্রশ্নে তারা সহযোগিতা করতে পারবে না।
ওই আধিকারিক বলেন, প্রায় গোটা রাজ্যেই রেল স্টেশন ও স্টেশন লাগোয়া জায়গাগুলি দখল করে সেখানে অস্থায়ী দোকান করা হচ্ছে। কিছু জায়গা আমরা দখলমুক্ত করলেও সবটা করে উঠতে পারিনি। যেহেতু রাজ্য সরকারও এই মুহূর্তে বেআইনি উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে তাই আমরা চাইছি আমাদেরকেও তারা সহযোগিতা করুক। কারণ, রেলের নিজস্ব ফোর্স বা আরপিএফ-এর দায়িত্ব হল রেলের সম্পত্তি রক্ষা। আইন-শৃঙ্খলার দিকটি দেখে রাজ্য সরকার। সেজন্যই আমরা রাজ্যকে অনুরোধ জানিয়েছি রেলের জায়গা দখলমুক্ত করার কাজে সহযোগিতা করতে।