ইতিমধ্যেই জমির মালিককে পুরসভার পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, পাশাপাশি থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটা ওয়ার্ডের কোথায় কোন পুকুর ভরাট হচ্ছে, সেটা অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় কাউন্সিলরগণ জানতে পারেন না। তবে এই ক্ষেত্রে ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার শিল্পী দাস বিষয়টি জানতে পেরেই পুরসভায় জানিয়েছেন। পুরসভার পক্ষ থেকে জমির মালিককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এদিন পুরসভার একজিকিউটিভ অফিসার থানায় এফআইআর করেছেন। খুব দ্রুতই পুরসভার পক্ষ থেকে ভরাট হওয়া অংশ থেকে সাদা বালি তুলে ফেলা হবে।”
সূত্রের খবর, বারাসত পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অনন্তপুর মৌজায় রয়েছে এই পুকুরটি। জেলা ভূমি দফতরের রেকর্ডে ওই জমির শ্রেণী পুকুর হিসেবেই রয়েছে। অনন্তপুর মৌজায় ওই পুকুরের জমির দাগ নম্বর ১৫ এবং খতিয়ান নম্বর ১২৪২।পুকুরের জমির পরিমাণ ০.০৬ শতক। সম্প্রতি ওই পুকুরে সাদা বালি ফেলে দিব্যি ভরাটের কাজ চলছে। শুধু তাই নয়, সাদা বালি ফেলে ওই অংশে কংক্রিটের পিলার তৈরি হয়েছে বলেই অভিযোগ। বিষয়টি জানার পরেই তৎপর হন স্থানীয় কাউন্সিলর। এরপরেই ওই পুকুর ভরাট রুখতে উদ্যোগী হয়েছে বারাসত পুরসভা। এ প্রসঙ্গে বারাসত ১ নম্বর ব্লকের বিএলআরও অভিজিৎ নিয়োগী বলেন, রেকর্ডে থাকা পুকুর ভরাট করে জমির মালিক কংক্রিটের পিলার করছিলেন।অভিযোগ পাওয়ার পরেই দফতরের পক্ষ থেকে ফোর সি ফাইভের নোটিশ দেওয়া হয়েছে জমির মালিককে। কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর বিষয়টির তদারকি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।