নন্দন দত্ত, রামপুরহাট: ফের পুলিশের উর্দি খুলে নেওয়ার হুমকি বিজেপির। এবার ঘটনাস্থল রামপুরহাট। বিডিও অফিসে পানীয় জলের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীদের। আর সেই মিছিল থেকেই পুলিশের উর্দি খুলে নেওয়ার হুমকি এল। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। এই হুমকির পালটা দিয়ে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, “বিজেপির প্রথম সারির নেতারা পুলিশকে চাকর, রাস্তার কুকুর বলেন। তাঁদের ক্যাডাররা এই ধরনের আচরণ শিখবেন এটাই স্বাভাবিক।”
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, সোমবার দুপুরে রামপুরহাট (Rampurhat) এক নম্বর ব্লকের খরিডাঙা গ্রামের পানীয় জলের দাবিতে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিতে যায় বিজেপি। তাদের অভিযোগ, পদ্মে ভোট দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামে পানীয় জল বন্ধ রয়েছে। তারই প্রতিবাদে এলাকার আদিবাসী বাসিন্দাদের নিয়ে রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বিডিওকে ডেপুটেশন কর্মসূচি করে বিজেপি। বিডিও না থাকায় জয়েন্ট বিডিও পুস্পিতা শর্মা বিজেপি নেতৃত্বকে বিডিওর চেম্বারে বসার কথা বলেন। অভিযোগ, বসতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। রামপুরহাট থানার এসআই উত্তম পাল দুজনকে দুমিনিটের জন্য বিডিওর ঘরে যাওয়ার অনুমতি দেয়। সেই সময়ই উত্তমবাবুকে ঘিরে বচসার সৃষ্টি হয়। জেলা সভাপতি-সহ বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে ঘিরে হুমকি দিতে থাকে। সেই ভিড়ের মাঝেই পুলিশের উর্দি খুলে নেওয়ার হুমকি আসে।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ধ্রুব সাহা দাবি করেন, ”পুলিশ-প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার সময় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ উর্দি ছেড়ে তৃণমূলের উর্দি পরুক।” আর এই হুমকি প্রসঙ্গে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে শান্তনু সেন বলেন, “বিজেপির শীর্ষ নেতারা কর্তব্যরত আইপিএস অফিসারকে খলিস্তানি বলেন। পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেন। এসিপি পদমর্যদার অফিসারকে মারধর করেন। তাঁদের দেখে বিজেপির ক্যাডাররা এই রকমই আচরণ শিখবে এটাই স্বাভাবিক। এটাই বিজেপির কালচার। বিজেপির এই কালচারের জন্য মানুষ ওদের বর্জন করছেন। আগামীতেও করবেন।”
এদিকে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বিডিওর দেখা না হলেও, জয়েন্ট বিডিওর সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। জয়েন্ট বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন সকলের সঙ্গে কথা বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিজেপি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যে জলের পরিষেবা দেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে তারা।