নিরুফা খাতুন: অন্তঃসত্ত্বা ও তাঁর স্বামীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রোমোটারের বিরুদ্ধে তপসিয়া থানায় মামলা রুজু করেছেন নির্যাতিতা। পালটা অভিযোগকারী দম্পতির বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রোমোটার।
তপসিয়ার বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা গুপ্তা। একটি কোচিং সেন্টারে পড়ান। তাঁর স্বামী বিকাশ গুপ্তা ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। মহিলা সাতমাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ, সোমবার রাতে প্রোমোটার অপু দাস ও তাঁর সঙ্গীরা ফ্ল্যাটে গিয়ে মারধর করেন দম্পতিকে। জানা গিয়েছে, ১৫সি গোবরা কবরস্থান রোডে প্রোমোটার অপুর কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট কেনেন ওই দম্পতি। ফ্ল্যাটের দাম ২৪ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে ২১ লক্ষ টাকা আগেই প্রোমোটারকে মিটিয়ে দেন। গত ১০ মে ফ্ল্যাটে ঢোকেন তাঁরা। বাকি ছিল তিন লক্ষ টাকা। ওই তিন লক্ষ টাকার জন্য হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
ওই দম্পতির দাবি, এই নির্মাণ বেআইনিভাবে করা হয়েছে। ওই আবাসনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়নি। লিফট ও সিঁড়ির কাজ বাকি রয়েছে। বলা হয়েছিল ওই কাজ সম্পন্ন হলে তবেই বাকি তিন লাখ টাকা মেটানো হবে। কিন্তু প্রোমোটার কাজ শেষ না করে বার বার টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। মহিলার অভিযোগ, রাতে প্রোমোটার দলবল নিয়ে আসেন। জোর করে ফ্ল্যাটে ঢোকেন। ফ্ল্যাটের বকেয়া টাকা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এর পর অপু ও তাঁর লোকজন স্বামীকে মারধর করতে থাকেন। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়।
এদিন থানায় আক্রান্ত দম্পতি অপুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছেন। পালটা অভিযুক্ত প্রোমোটারও থানায় দারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, “ফ্ল্যাট হস্তান্তর করার পরও বকেয়া টাকা দিচ্ছেন না ওই দম্পতি। বকেয়া টাকা চাইতে ফ্ল্যাটে যাওয়া হয়। কবে ওই টাকা দেবে তা নিয়ে কথা বলতে যাই। কিন্তু তিনি বচসা শুরু করেন এবং আমাদের ওপর চড়াও হন। মহিলা বিজেপি মহিলা মোর্চার সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেন।” প্রোমোটারের আরও দাবি, স্থানীয় ক্লাবের কয়েকজন সদস্যও হামলায় জড়িত। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখতে পারে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও রাজনৈতিক ঝামেলা নয়। ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে ক্রেতা ও প্রোমোটারের মধ্যে বিবাদ থেকে মারপিট হয়। দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।