পশ্চিম বর্ধমান জেলা: ডেঙ্গু মশা বা লার্ভা নেই, লিখিতভাবে জানাতে হবে সমস্ত সরকারি অফিসকে
বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: অফিসে ডেঙ্গু মশা বা ওই মশা জন্মানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। এমনটা লিখিতভাবে জানাতে হবে সরকারি অফিসের শীর্ষ আধিকারিকদের। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। তবে শুধু লিখে জানিয়ে দায় সারলেই হবে না। ডেঙ্গু মশা বা ডেঙ্গু মশার লার্ভা রয়েছে কিনা-তা কোন কোন অংশে দেখতে হবে, সেবিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। এসব জায়গায় মশা বা তার লার্ভার হদিস মেলেনি-সেটা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ অংশ রেল, সেইল ও ইসিএলের অধীনে রয়েছে। তাঁদের কারখানা চত্বর, স্টেশন চত্বর, কলোনিতে ডেঙ্গু রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে-সেদিকে নজর রাখা শুরু করল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নমবলম এস। জেলাশাসক বলেন, জেলার প্রতিটি প্রান্তে ডেঙ্গু মশা ও লার্ভা সমান্তরালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই সংক্রমণ কমানো সম্ভব। সেই কারণে রেল, সেইল, ইসিএলের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করছি। জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে কেউ এলে চিকিৎসকদের সন্দেহ হলেই ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করাচ্ছেন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। আসানসোল, দুর্গাপুর শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ অন্য জায়গার তুলনায় বেশি। এবার বর্ষা শুরু হতেই দুই শহরে ডেঙ্গু থাবা বসিয়েছে। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সর্বত্র ডেঙ্গু রুখতে চায় প্রশাসন। বিভিন্ন সরকারি অফিসকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নানা সংস্থাকেও চাপে রাখা হচ্ছে।