• কলকাতার পিজি ও এনআরএসকে টেক্কা বাঁকুড়া, বর্ধমান মেডিক্যালের
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: স্বাস্থ্য পরিষেবায় এসএসকেএম ও এনআরএসকে টক্কর দিচ্ছে বর্ধমান এবং বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ওপিডি, ই-প্রেসক্রিপশন, ল্যাব রিপোর্ট এবং রোগীদের ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর পারফরমেন্স রিপোর্ট তৈরি করে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সবগুলি ক্ষেত্রে কলকাতার নামী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিকে ওই দু’টি প্রতিষ্ঠান টক্কর দিচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষায় এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রথম স্থান রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। চতুর্থ স্থানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। কখনও সখনও এই হাসপাতাল তৃতীয় স্থানেও উঠে এসেছে। 


    গত ১০জুলাই এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৯৬৪ জন। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালে ৫৬২৯ ও বর্ধমানের ওপিডিতে ৪৭০৯জন রোগী দেখিয়েছেন। বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় ওইদিন ই-প্রেসক্রিপশন ইস্যু হয়েছে যথাক্রমে ১১১৫ এবং ১২০২ টি। এভাবে প্রতিদিনই পারফরমেন্স রিপোর্ট তৈরি হয়। তাতে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ বা আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পিছনে ফেলে দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এই দু’টি প্রতিষ্ঠান। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি তাপস ঘোষ বলেন, প্রতিদিন স্বাস্থ্যদপ্তরে বিভিন্ন বিষয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়। কতগুলি ল্যাব টেস্ট হচ্ছে বা ই-প্রেসক্রিপশন কতজন রোগীকে দেওয়া হচ্ছে সেই রিপোর্ট স্বাস্থ্যদপ্তর জানতে চায়। সেসব কিছু পর্যালোচনা করে পারফরমেন্স রিপোর্ট তৈরি হয়। আমাদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বরাবরই তৃতীয় বা চতুর্থ স্থান অধিকার করে আসছে।


    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আউটডোরে আগের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিউরো সার্জারির ওপিডি শুরু হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জেলার রোগীরা পরিষেবার জন্য আসছেন। চিকিৎসকদের দাবি, নিউরো সার্জারি শুরু হয়ে গেলে বাঙ্গুর হাসপাতালের চাপ অনেকটাই কমে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের রোগীরা অনাময়ে চিকিৎসা করার সুযোগ পাবেন। চলতি বছরে এই পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেইমতো পরিকাঠামো  তৈরি করা হচ্ছে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্বাস্থ্যদপ্তরে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা নিয়োগ হলেই পরিষেবা চালু করা হবে। এমএসভিপি বলেন, ধারাবাহিকভাবেই আমাদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তৃতীয় বা চতুর্থ স্থান দখল করে আসছে। আউটডোরে আসা পুরনো এবং নতুন রোগীর সংখ্যা কত সেটাও সমীক্ষায় বিচার করা হয়। আমাদের আউটডোরে প্রতিদিন নতুন রোগীর সংখ্যাই বেশি থাকে। ভর্তি থাকা রোগীদের ছুটি দেওয়ার সময় সমস্ত নিয়মকানুন মানা হচ্ছে কিনা সেটা আধিকারিকরা দেখেন। সবকিছুর নিয়ম মেনে হওয়ার জন্যই আমাদের হাসপাতাল ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রাখতে পেরেছে। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্বাস্থ্য ভবন আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। চিকিৎসক, সিস্টার, ফার্মাসি, সেন্ট্রাল ল্যাব, আইটি প্রভৃতি বিভাগের কর্মীদের যৌথ পরিশ্রমের ফলেই আমরা সাফল্য পাচ্ছি। রোগীদের পরিষেবায় আগামী দিনে একাধিক ব্যবস্থা নিয়ে আসব।
  • Link to this news (বর্তমান)