• মুর্শিদাবাদের লালগোলা ও রঘুনাথগঞ্জে সুফল বাংলা বিপণির উদ্বোধন বেচারামের
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলায় দু’টি সুফল বাংলা বিপণির উদ্বোধন হল। লালগোলা বাসস্ট্যান্ড ও রঘুনাথগঞ্জ ডাকবাংলো প্রাঙ্গণ, জেলার দুই প্রান্তে এদিন সুফল বাংলা বিপণিগুলি চালু করা হয়েছে। প্রদীপ জ্বেলে ও ফিতে কেটে দু’টি বিপণিরই উদ্বোধন করেন রাজ্য কৃষি বিপণন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি, জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। 


    এদিন সুফল বাংলা বিপণির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষক ও সাধারণ মানুষ তথা ক্রেতাদের সুবিধা দিতেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সুফল বাংলার পথ চলা শুরু হয়। এই প্রকল্পে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। এছাড়া সাধারণ মানুষ বা ক্রেতারা নিয়ন্ত্রিত দামের মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছেন। সুফল বাংলা বিপণির মাধ্যমে উৎপাদক ও ক্রেতাদের সরাসরি সংযোগ করে দেওয়ায় উভয়পক্ষই উপকৃত হচ্ছেন। 


    রাজ্যব্যাপী সুফল বাংলা বিপণির সাফল্য প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ১০ জুলাই পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৪৬৮টি বিপণি ছিল। গত ছ’দিনে আরও ২৫টি চালু হল। এরমধ্যে ৭৯টি স্থায়ী এবং বাকিগুলি অস্থায়ী। মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তাই সংখ্যাও বাড়ছে। তিনি পূর্বতন বাম সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ওই সময়ে বাজারে কৃষিজ ফসল ও কৃষিজাত পণ্যের দামের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে ক্রেতারা রীতিমতো নাজেহাল হতেন। বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ২০১৪ সালে টাস্ক ফোর্স গঠন করে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করলেন। পাশাপাশি সুফল বাংলা বিপণির মাধ্যমে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। সুফল বাংলা বিপণির সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এখানে ক্রেতারা খোলা বাজারের থেকে অন্তত ১০ শতাংশ কম দামে কৃষিজ ফসল ও কৃষিজাত পণ্য কিনতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই সমাজের সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন খরচ সাশ্রয় করতে পারবেন। কিষান ক্রেডিট কার্ড, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য কৃষিদপ্তর কৃষকদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কৃষক পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্য বার্ধক্যভাতা, বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছেলেমেয়েদের জন্য সবুজসাথীর সাইকেল, কন্যাশ্রী দেওয়া হচ্ছে। কৃষকের স্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন। সবমিলিয়ে এই রাজ্যের কৃষকরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফলে, তাঁদের এখন অভাবে কম দামে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে না।
  • Link to this news (বর্তমান)