• হিজলে তিনটি সেতুরই সংযোগকারী রাস্তা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কান্দি: সাতবছর আগে কান্দির হিজলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে তৈরি হওয়া তিনটি সেতু কোনও কাজেই লাগছিল না। কারণ সেতু থাকলেও সংযোগকারী রাস্তা নেই। তবে এবার তিনটি সেতু কাজে লাগবে বলে বাসিন্দারা আশাবাদী। কারণ, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তরফে ওই তিনটি সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে কয়েকমাসের মধ্যেই কান্দি ও বহরমপুর ব্লকের মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই কমে যাবে। এমনই আশা করছেন কান্দির বাসিন্দারা।জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, রাস্তার কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। জমি-সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কিছুটা কাজ এখনও শেষ করা যায়নি। তবে ভোট মিটে যাওয়ায় এবার রাস্তার কাজ শেষ হবে। তাই আর কয়েকমাস অপেক্ষা করতে হবে।


    ২০১৭ সালে বন্যা নিয়ন্ত্রণে কান্দি মাস্টার প্ল্যানের আওতায় হিজল এলাকায় দ্বারকা, কুয়ে ও বাবলা নদীর উপর তিনটি সেতু তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেতু তৈরি হলেও তার সংযোগকারী রাস্তা ছিল না। ফলে তিনটি সেতু কোনও কাজে লাগছিল না। অথচ রাস্তাটি তৈরি হলে কান্দি শহর থেকে বহরমপুর ব্লকের সাটুই পর্যন্ত অতি সহজে যাতায়াত করা যাবে। এতে কৃষিনির্ভর ওই এলাকার আর্থসামাজিক বিকাশও হবে।


    গত বছর মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তরফে এসআরডিএ প্রকল্পে ওই রাস্তার জন্য প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। কয়েকমাস আগে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। রাস্তার দৈর্ঘ্য ১০.৯১ কিলোমিটার। কান্দি শহরের শীতলাতলা থেকে শ্রীকৃষ্ণপুর পর্যন্ত রাস্তাটি তৈরি হয়েছে।


    ওই রাস্তার বেশিরভাগ কাজ শেষের পথে হলেও শ্রীকৃষ্ণপুর ও সুভাষনগর গ্রামের কাছে কয়েকশো মিটার রাস্তার কাজ একেবারেই করা যায়নি। সুভাষনগর গ্রামের কাছে জমি সমস্যা ছাড়াও নীচু এলাকা হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের কাছে ভোটের কয়েকদিন আগে একটি পুরনো কালভার্ট ভেঙে পড়ে। ওই কালভার্ট বদল করাও দরকার। যদিও এলাকার বাসিন্দারা মাটি ফেলে অস্থায়ীভাবে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন। কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গোপাল মজুমদার বলেন, জেলা পরিষদের তরফে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। ফলে এই এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মিটতে চলেছে।


    স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় সর্দার, সুবিমল রাজবংশী, তৌফিক হোসেনরা বলেন, কান্দির হিজল বরাবর পিছিয়ে পড়া এলাকা বলেই চিহ্নিত। এখানকার যোগাযোগ সমস্যা বহু বছরের পুরনো। তবে এই রাস্তা তৈরি হলে বাসিন্দাদের অর্ধেক সমস্যা মিটে যাবে। বিশেষ করে চাষিরা খুব সহজে কান্দি ও বহরমপুরের বাজারে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে পারবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)