সংবাদদাতা, পতিরাম: হাসপাতালে বাড়ছে রোগী পালিয়ে যাওয়ার সংখ্যা। বাড়ছে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ও অপরাধের ঘটনা। তাই মঙ্গলবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে প্রাধান্য পেল নিরাপত্তার বিষয়। তাই এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিচ্ছে রোগী কল্যাণ সমিতি। হাসপাতালে নিরাপত্তা দিতে আরও পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী মোতায়েন করা হবে। আরও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। একেবারে প্রতিটি ওয়ার্ডের মূল গেটে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। এছাড়াও অনেক বিভাগেই মূল গেটে লক করার ব্যবস্থাও করা হবে। নিরাপত্তা সহ হাসপাতালের পরিষেবা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ বলেন, এদিন হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মূলত বৈঠকে নিরাপত্তার দিকটিতেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিস মোতায়েন এবং আরও সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ১০০ বেড এবং নানা পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। তবে এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক উপস্থিত হতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও রাজস্ব) হারিশ রাসিদ ওই বৈঠকে ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস, হাসপাতাল সুপার, পুলিসের ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) বিক্রম প্রসাদ, আইসি শান্তিনাথ পাঁজা, পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র সহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত, ৬ জুলাই রাত ২টোর সময় হাসপাতাল থেকে এক রোগী বেরিয়ে বাইরে চলে গিয়েছে। সেই রোগীর আর খোঁজ মেলেনি। এনিয়ে রবিবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালায় রোগীর পরিবার। ওই ঘটনায় নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। দু’দিন আগেও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ থেকে এক মহিলা রোগী পালিয়েছে। এভাবে প্রতি মাসেই হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও বিগত দিনেও হাসপাতালে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে এসেছে। মঙ্গলবারও সমিতির বৈঠক চলাকালীন এক যুবতীকে পুলিসের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে পালায় পরিবার। কাজেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সমিতি।
এদিকে নিরাপত্তা ছাড়াও হাসপাতালে ১০০ বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত মেডিসিন বিভাগে ওই বেড বাড়ানো হবে। এছাড়াও হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের পুরনো এজেন্সির সময়সীমা শেষ। তাই নতুন এজেন্সিকে হাসপাতালের অন্য একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে বসানো হবে। এদিকে হাসপাতাল চত্বরে রয়েছে রাত্রিকালীন থাকার আবাসন। সেই আবাসন পুরসভা দ্রুত খুলতে চলেছে। এছাড়াও একাধিক পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়।