সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: দীর্ঘবছর ধরে শাকদল গ্রামের ধরলা নদীতে বেহাল সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শতাধিক পড়ুয়া এই পথ দিয়েই স্কুলে যায়। বেহাল সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন। দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের ভেটাগুড়ি-২ পঞ্চায়েতের শাকদল গ্রামে থাকা ধরলা নদীর বিমল দাসের ঘাটে পাকা সেতু তৈরি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে পাকা জয়েস সেতু তৈরির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছর ভোটের আগে পাকা সেতুর আশ্বাস দেওয়া হলেও, আজও পূরণ হয়নি। বাধ্য হয়ে বেহাল সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে গৌরাঙ্গ বাজার হাইস্কুল ও সরকারি প্রাথমিক স্কুলে যাতায়াত করছে শতাধিক পড়ুয়া সহ কয়েক হাজার বাসিন্দা। এছাড়া কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় কৃষকদের উৎপাদিত ফসল কয়েক কিলোমিটার ঘুরপথে বেশি টাকা খরচ করে হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে হচ্ছে। কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে ধরলা নদীর বিমল দাসের ঘাটে একটি পাকা জয়েস সেতু নির্মাণ করতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দা মহিমা বিবি, প্রতিমা দাস বলেন, সাঁকোটি ভেঙে গিয়েছে। যাতায়াত করা যাচ্ছে না। আমরা চাই দ্রুত প্রশাসন এই ঘাটে একটি পাকা জয়েস সেতু তৈরি করুক। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নয়ন বর্মন বলেন, সাঁকোটির অবস্থা খুবই বেহাল। এখানে একটি কংক্রিটের সেতু প্রয়োজন। ভেটাগুড়ি-২ পঞ্চায়েতের প্রধান প্রিয়াঙ্কা দে সরকার বলেন, ওই ঘাটে এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি সেতুর। এখানে একটি জয়েস সেতু হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে পঞ্চায়েতের সেতু করার জন্য অত টাকা নেই। এই ঘাটে যাতে একটি সেতু তৈরি করা যায় সেজন্য আমরা সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর কাছে আবেদন জানাব। নিজস্ব চিত্র