• ধসে গিয়েছে ক্লাসরুমের মেঝে, সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শীতলকুচি: ধসে গিয়েছে ক্লাস রুমের মেঝে। যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ইটের দেওয়াল। মাথাভাঙা মহকুমার শীতলকুচি ব্লকের নগর নেপড়া চতুর্থ প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। সিতাই-শীতলকুচি রাজ্য সড়কের পাগলাপীর পেট্রল পাম্পের পাশেই এই স্কুল। বাইরে থেকে ঝাঁ চকচকে স্কুল চত্বর নজরে এলেও ক্লাস রুমের বেহাল পরিস্থিতি দেখলে আঁতকে ওঠার জোগাড়। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের পড়ুয়াদের পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ক্লাস রুম ধসে যাওয়ায় সেই ক্লাস রুমে পঠনপাঠন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। 


    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ক্লাস রুম ধসে গিয়েছে সেখানে প্রাক্ প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণির পড়ুয়াদের বসানো হতো। পাশের রুমটিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস। এই রুমটিও যেকোনও সময় ধসে যেতে পারে। তাই দু’টি ক্লাস রুম বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রাক্ প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৯৩ জন পড়ুয়া রয়েছে স্কুলে। তিনজন শিক্ষক আছেন। দু’টি ক্লাস রুম বন্ধ থাকায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস রুমেই ছ’টি শ্রেণির পড়ুয়াদের বসানো হচ্ছে। 


    বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্কুলের পিছনে একটি পুকুর রয়েছে। প্রত্যেক বছর মাটি ধসে যাওয়ায় ক্লাস রুমের নিচের অংশের মাটি সরে যাওয়ায় ক্লাস রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেকোনও দিন ক্লাস রুমটি ভেঙে পুকুরে যেতে পারে। তাই পুকুরে পাড় বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি স্কুলের ক্লাস রুম সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও স্কুলের টিচার ইন চার্জ রাসেক মহম্মদ গুলসান রহমান জানিয়েছেন, প্রায় ১০ দিন আগে হঠাৎ স্কুলের একটি রুমের মেঝে ধসে পড়ে। বিষয়টি আমি এসআই দপ্তরে জানিয়েছি। এরআগেও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছিলাম। 


    অভিভাবকদের মধ্যে বিজয় বর্মন, সাহেদা বিবি বলেন, এবারে বর্ষায় স্কুলের মাঠে জল জমেছে। ক্লাস রুমের মেঝে ধসে গিয়েছে। যেকোনও সময় ঘরের দেওয়াল ভেঙে পুকুরে পড়ে যেতে পারে। দু’টি ক্লাস রুমে এতজন পড়ুয়া একসঙ্গে ক্লাস করলে ঠিকমতো পড়াশোনা হবে না। অবিলম্বে পাড় বাঁধ নির্মাণ ও ক্লাস রুম সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি আমরা। 


    যদিও বিষয়টি নিয়ে ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সার্জিনা খাতুন বিবি বলেন, বিষয়টি  স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দারা জানিয়েছে। এবিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শীতলকুচি পূর্ব চক্রের এসআই অমিত সরকার জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বর্মন বলেন, ক্লাস রুমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। বর্ষাকালে পুকুরের পাড় বাঁধ নির্মাণ সম্ভব নয়। ক্লাস রুম সংস্কারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)