• বাচ্চা কলোনির জমা জল সাহাপুরে ফেলার উদ্যোগ সাংসদের, আপত্তি
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পুরাতন মালদহ শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাচ্চা কলোনির জমা নোংরা জল পাশের সাহাপুর গ্রামে ফেলার উদ্যোগ নিলেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। মঙ্গলবার সকালে সাংসদের উপস্থিতিতেই আর্থমুভার দিয়ে নালা কেটে জমা জল বের করা হয়। সেই জল নালার মাধ্যমে স্থানীয় গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় ফেলা হবে বলে সাংসদ জানিয়েছেন। এতে ওই গ্রামের বাসিন্দারা আপত্তি তুলেছেন। তাঁদের আশঙ্কা এতে আগামীদিনে ব্যাপক অসুবিধা হবে। 


    এদিন সাংসদের সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন মিনতি এবং ছোটন মুর্মুরা। তাঁরা প্রকাশ্যেই সাংসদকে সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, পুরসভার নোংরা জল আমাদের পুকুরে ফেলা হবে শুনতে পাচ্ছি। এটা ঠিক নয়। ওই পুকুরে আমরা এখনও স্নান, বাসন, কাপড় পরিষ্কার করার কাজ করি। নোংরা জল এলে সব দূষিত হয়ে যাবে। আমরা সহ শিশুদের নানা রোগ হবে। বিশেষ করে বর্ষার সময় আমাদের অসুবিধা হয়। এবার দুই এলাকার জল এলে ভরে যাবে। এটা খতিয়ে দেখা উচিত। 


    উত্তর মালদহের সাংসদ এনিয়ে বলেন, পুরসভার বাচ্চা কলোনির বাসিন্দারা ১০ বছর ধরে ভুক্তভোগী। আমাকে তাঁরা কিছুদিন আগে জানিয়েছেন জল জমে থাকে। আমি পরির্দশন করেছিলাম। এদিনও করেছি। রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকেছিলাম। নালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জল সাহাপুর যাবে। সেখানে আদিবাসী বাসিন্দারা বসবাস করেন। তাঁদের কেউ ভুল বুঝিয়েছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন জল এলে এলাকা ডুবে যাবে। আমি ওই গ্রাম দেখে এসেছি। ওই এলাকা উঁচু রয়েছে। ডোবার সম্ভাবনা নেই।


    পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গোটা ওয়ার্ড নয়। মাত্র ৫০টি পরিবারের সমস্যা।  জল বের করতে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা দরকার। নালা তো অস্থায়ী কাজ। সেটা বুজে যেতে পারে। আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে বড় ড্রেন করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্ষার জন্য কাজ শুরু করতে পারছি না। সমস্যা মিটে যাবে। জল সাহাপুরে ফেলা হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের আপত্তির কথা শুনেছি।
  • Link to this news (বর্তমান)