সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৃণমূলের ২১ জুলাই সমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক ও রায়গঞ্জ উপ নির্বাচনের বিজয় মিছিল করে বিতর্কে তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি।
ক্যাম্পাসে এভাবে দলীয় কর্মসূচি করা যায় না বলে অভিযোগ করে সরব কংগ্রেস। যুব কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি সৌভিক রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয় অফিসে পরিণত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আর পড়াশোনা হয় না। তৃণমূল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি না নিয়ে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী সভাকক্ষে ২১ জুলাইয়ের কর্মিসভা করছে। যা নিয়ম বহির্ভূত কাজ।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষাবন্ধু সমিতির জেলা সভাপতি তপন নাগ। ২১ জুলাই ধর্মতলায় যে সমাবেশ হবে, সেখানে কীভাবে যোগ দিতে হবে সেই সম্পর্কে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন। এরপর সভাকক্ষ থেকে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের কর্মিসভার ব্যানার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল করেন তাঁরা। এদিন সমিতির কর্মসূচি নিয়ে তপন নাগ বলেন, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল মনোনীত উপাচার্য যেভাবে আমাদের হেনস্তা করছেন, তা নিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এদিন বিজয় মিছিল ও ২১ জুলাইয়ের বৈঠকও হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে উপচার্য দীপক কুমার রায়ের মন্তব্য, ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি কী ঘটেছে ক্যাম্পাস ইনচার্জের কাছ থেকে খোঁজ নেব। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের দলীয় কর্মসূচী করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির উর্দ্ধে। আমি যোগ দেওয়ার পর পদক্ষেপ নেব।
ক্যাম্পাস ইনচার্জ প্রশান্ত কুমার মহালা বলেন, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী সভাকক্ষে দলীয় কর্মসূচী করার অনুমতি ছিল কি না, খোঁজ নিয়ে দেখছি। উপচার্য ফিরলে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।