• ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি এমপি ঈশার
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: গঙ্গার ভাঙনে বিপর্যস্ত বিস্তীর্ণ এলাকার নদীপাড়ের বাসিন্দারা। ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় অবস্থায় কাটছে বাসিন্দাদের। প্রতিবছর একই ঘটনা ঘটলেও ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আন্দোলনের হুমকি দিলেন ঈশা খান চৌধুরী। দক্ষিণ মালদহের সাংসদ বলেন, বাড়িঘর, জমি সব গঙ্গার গর্ভে চলে যাচ্ছে। অথচ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার জনগণের সমস্যার দিকে নজরই দিচ্ছে না। ভাঙন রোধে স্থায়ী কাজ না হলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঈশা। যদিও তৃণমূলের দাবি, রাজ্য সরকার ভাঙন রোধে তৎপর। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য না করায় এই পরিস্থিতি। মানিকচক ব্লকের ভূতনি ও গোপালপুর অঞ্চলে গঙ্গা ভাঙনের জেরে অসহায় অবস্থা বাসিন্দাদের। প্রতিনিয়ত বাড়ছে নদীর জল। এমন অবস্থায় ভূতনিতে বন্ধ রয়েছে গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ। বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আতঙ্কে রাত কাটছে দুর্গতদের। বারবার সেচ দপ্তর ও প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে কাজের আবেদন জানিয়েছিলেন ভূতনির বাসিন্দারা। তাতে কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। একই অবস্থা গোপালপুর অঞ্চলের কামালতিপুর, উত্তর হুকুমতটোলা ও এলাহীটোলার। সেখানে বাঁধের গা ঘেঁষে বইছে গঙ্গা। ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। এমনকী নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বাড়িঘর ভাঙতেও শুরু করেছেন। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে ব্লক প্রশাসন। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন কর্মী, আধিকারিকরা। সোমবার সন্ধ্যায় মানিকচক ব্লক কমিউনিটি হলে দক্ষিণ মালদহের নবনির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদকে সংবর্ধনা দেয় নেতৃত্ব। সেখানে সাংসদ ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম, কংগ্রেস ব্লক সভাপতি মতিউর রহমান, বামনেতা মোজাফফর হোসেন সহ অন্যরা। সেখানেই ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে  ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঈশা। তিনি বলেন, মালদহ জেলার রতুয়া থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইউপিএ সরকারের সময়ে ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে আপ স্ট্রিমে ৪০ এবং ডাউন স্ট্রিমে ৮০ কিলোমিটার কাজ করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। তারপর বিজেপি সরকার গঙ্গা ভাঙন রোধে কাজ করেনি। আর রাজ্য সরকার শুধু বালির বস্তা দিয়ে কাজ করছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভাঙন কবলিত জায়গা আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।যদিও সাংসদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে মানিকচক ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্লক  সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রতিবছর গঙ্গা ভাঙন রোধে কোটি কোটি টাকার কাজ করে রাজ্য। কেন্দ্র উদ্যোগ না নেওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাল্টা দক্ষিণ মালদহ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে  রাজ্য সরকার দরবার করেনি। রাজ্য বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ করে কাটমানি লুটছে। আবেদন জানালে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে ব্যবস্থা করা হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)