বর্জ্যকে অর্থকরী করে তুলতে উদ্যোগ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের
বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রতিদিন উৎপন্ন হওয়া বর্জ্য পরিশোধন করে, তা থেকে জ্বালানি তৈরিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্য। তার জন্য গড়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। সোমবার মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমার জানান, তাঁরা রাজ্যে চারটি মেশিন কেনার উদ্যোগ নিচ্ছেন, সেগুলি থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রিফিউজ ডিরাইভড ফুয়েল (আরডিএফ) তৈরি হবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, এগুলি কলকাতা ও সল্টলেক পুরসভা এলাকা ছাড়া রাজ্যের আরও দু’টি জায়গায় বসানো হবে। এই মেশিনগুলি সব ধরনের মেশানো বর্জ্যকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আলাদা করতে পারে এবং তা থেকে আরডিএফ তৈরি করতে পারে। এগুলি অর্থকরী। কারণ, এই আরডিএফ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। মিশ্রিত বর্জ্যের মধ্যে প্লাস্টিক মিশে থাকলেও সেগুলিকে আলাদা করা সম্ভব হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, তাঁরা দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে এই ধরনের প্রযুক্তির ধারণা পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে বছরে ৩ লক্ষ ১৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয় প্রতিবছর, সেগুলির মধ্যে থেকে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টন বর্জ্যের পৃথকীকরণ সম্ভব হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে রাজেশ কুমার বলেন, সুষ্ঠুভাবে প্লাস্টিক ব্যবহারের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের জন্য তাঁরা একটি মোবাইল অ্যাপ আনার পরিকল্পনা করছেন। তাঁর কথায়, বাড়িতে আনা প্লাস্টিক ব্যাগ বা প্যাকেটকে সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। তা দূষণ বাড়ায়। এই প্লাস্টিকগুলি যাতে জমিয়ে রেখে বিক্রি করা যায়, তার ব্যবস্থা থাকবে ওই অ্যাপে। যদি ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক আয়ের রাস্তা খুলে দেয়, তাহলে তা নিয়ে আরও সচেতন হবেন মানুষ, দাবি তাঁরা। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন বাজারে ১০ টাকার বিনিময়ে কাপড়ের ব্যাগের ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজেশ কুমার। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রী গুলাম রব্বানি বলেন, তাঁরা দূষণবিহীন রান্নার জন্য প্রায় ৪ হাজার ধোঁয়াহীন চুলার ব্যবস্থা করেছেন রাজ্যে।