• স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও প্যাক্সকেও ‘সুফল বাংলা’ খোলার ছাড়পত্র দেবে রাজ্য
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শাক-সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যের বড় ভরসা সুফল বাংলার স্টল। একদিকে শিয়ালদহ, যদুবাবুর বাজার এবং লেক মার্কেটের মতো বাজারে গিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্যের গঠিত টাস্ক ফোর্স। অন্যদিকে, পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে মঙ্গলবার প্রত্যেক জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বাজারে সব্জির দাম আরও কমাতে জোগান বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলা হয়েছে অভিযান বাড়াতে হবে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকেও। একইসঙ্গে সুফল বাংলার স্টল আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।


    জোগান আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই উপায় নিয়েও এদিনের বৈঠকে কথা হয়। পাইকারি বিক্রেতারা সব্জি, আলু, পেঁয়াজের বেআইনি মজুত রাখছেন কি না, সেদিকে নজরদারি আরও বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেআইনি মজুত আটকাতে পারলেই জোগান আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। 


    এদিনের বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদেরও এব্যাপারে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের রাস্তায় নেমে বাজারে বাজারে পরিদর্শনের নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। সুফল বাংলার স্টল সংখ্যাও যতটা সম্ভব বাড়াতে বলেছেন মুখ্যসচিব। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের পাড়ায় পাড়ায় একটা করে স্টল খুলতে বলা হয়েছে। এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং প্যাক্সগুলিকে সুফল বাংলা স্টল চালু করার ছাড়পত্র দিতে চলেছে নবান্ন। 


    এই সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই জারি হবে বলেও সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, এতদিন শুধুমাত্র এফপিওগুলির মাধ্যমে সুফল বাংলা স্টল চালানো হতো। সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে শাক-সব্জি পৌঁছে দিতে কৃষি বিপণন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে সরাসারি চাষিদের কাছ থেকে ফসল কিনে সুফল বাংলা স্টল থেকে বিক্রি করা হয়  বর্তমানে রাজ্যে সুফল বাংলা স্টলের সংখ্যা ৪৯০। সংখ্যাটি আরও বৃদ্ধির তোড়জোড় শুরু করল নবান্ন। প্রসঙ্গত, বাজারে সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাম থেকে শহরে রেলপথে সব্জি আনার সময় চাষিরা যে সমস্যায় পড়েন, ওই বৈঠকে প্রসঙ্গটি তোলেন টাস্ক ফোর্স সদস্য কমল দে। ভেন্ডার কামরায় একজনের পক্ষে ৬০ কেজির বেশি পণ্য বহন এবং আরও কিছু সমস্যার কথা জানান তিনি। সূত্রের খবর, সেইমতো নবান্নের তরফে হাওড়া এবং শিয়ালদহের ডিআরএমের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। রেলের তরফেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিষয়টি বিবেচনার জন্য। 


         
  • Link to this news (বর্তমান)