• মাঝপথে বন্ধ হালতুর রামলাল বাজারের সংস্কার, ঝুঁকি নিয়েই চলছে বেচাকেনা
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার রামলাল বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন হালতু, উত্তর পূর্বাচল, মণ্ডলপাড়া সহ অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু, কলকাতা পুরসভার এই বাজারের হাল অত্যন্ত খারাপ। অভিযোগ, দীর্ঘকাল সংস্কার না হওয়ার কারণে দোতলা বাড়ির কাঠামো ভেঙে পড়ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি মতো, কয়েক মাস আগে বাজারের সংস্কারের কাজ শুরু হলেও তা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে দোকান চালাতে হচ্ছে। একই দাবি ক্রেতাদেরও। তবে পুরসভার বক্তব্য, প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সংস্কারের জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি পিলারে শুধু কংক্রিটের আস্তরণ দিলে হবে না। সেই পিলারগুলি ভেঙে নতুন করে বানাতে হবে। সেই সঙ্গে বাজারের নিকাশি ব্যবস্থারও ভোলবদল প্রয়োজন। তাই, কোটি টাকার বেশি লাগবে। পুরসভার তরফে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে ফাইল পাঠানো হয়েছে। নতুন করে টেন্ডার করতে হবে। 


    পুরসভার অন্যান্য বাজারগুলির তুলনায় রামলাল মার্কেট বড়। মুদির দোকান, মাছ এবং সব্জি মিলিয়ে শ’দুয়েক দোকান এখানে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বাজারটির হাল দীর্ঘকাল ধরে খারাপ। বাজার ঘুরলে দেখা যাবে, দেওয়ালগুলি থেকে পলেস্তরা খসছে। সিমেন্ট ভেঙে উঁকি দিচ্ছে ইট। বিভিন্ন জায়গায় ঢালাইয়ের লোহার রড বেরিয়ে এসেছে। মাঝে মধ্যে চাঙড় খসে পড়ছে। জানা গিয়েছে, ৪৫টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বাজারটি। তার মধ্যে ৪০টি স্তম্ভেই ফাটল ধরেছে। বাজারের শৌচালয়ের অবস্থাও যথেষ্ট খারাপ।


    দুলালকুমার মল্লিক নামে রামলাল বাজারের এক সব্জি ব্যবসায়ী বললেন, বছর ছয়েক আগে বাজারের খানিকটা অংশ সংস্কার হয়েছিল। সম্প্রতি ফের কাজ শুরু হয়। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল। রুদ্র ঘোষ নামে এক ক্রেতা বললেন, উত্তর পূর্বাচল থেকে এখানে বাজার করতে আসি। প্রায় প্রাণ হাতে নিয়ে কেনাকাটা করতে হয়। একতলায় বাজার চলে। দোতলায় পুরসভার অফিসও আছে। তারপরও বিল্ডিংয়ের এই বেহাল দশা। বিভিন্ন জায়গায় লোহার রড দাঁড় করানো রয়েছে। এভাবে কাজ বন্ধ করে ফেলে রাখার কোনও মানে হয় না। ক্রমশ বিপজ্জনক বাড়ি হয়ে উঠছে এটা।


    ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরিজিৎ দাসঠাকুর সম্প্রতি সমস্যার বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়েছেন। মেয়র জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে। অরিজিৎ দাসঠাকুর বলেন, পিছনে স্বাস্থ্যদপ্তরের একটি জায়গায় বিক্রেতাদের অস্থায়ী বসার জায়গা করে দেওয়া হবে। ৮ থেকে ১০টি পিলারের অবস্থা খুব খারাপ। সেগুলি ভেঙে গোটাটা নতুন করে করতে হবে। বাকি পিলারগুলি সংস্কারের পাশাপাশি গোটা বাজারের দেওয়ালও মেরামত করা দরকার। নিকাশি ব্যবস্থাও নতুন করে বানাতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)