বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির মতে, প্রায় আড়াই হাজার বাস রাস্তা থেকে উঠে যাবে। ধাপে ধাপে এই বাসগুলি তুলে নেওয়ার পর তা স্ক্র্যাপ করে দেওয়া হবে। সঙ্গে বিকল্প হিসাবে নতুন পারমিটও দেওয়া হবে। পরিবহণ দফতরের মোটর ভেহিকলস বিভাগ এই দায়িত্বে থাকে। জেলার রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (আরটিএ) এই কাজটি করে থাকে। কিন্তু বেসরকারি বাস মালিকদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে পুরনো গাড়ি স্ক্র্যাপ করার এবং পুনঃস্থাপনের নির্দেশ পেতে বহু ঝক্কি পোহাতে হয়।
এমনকি, এই দুই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে ঘুষও চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চিঠি লিখে এই দু’টি পরিষেবা চালু করার আবেদন জানানো হয়েছে। ২০০৯ সালে যখন কলকাতা হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছিল, তখনও এক ঝাঁক বেসরকারি বাস বাতিল হয়েছিল। সেবার গাড়ি স্ক্র্যাপ করার এবং পুনঃস্থাপনের নির্দেশ পেতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী। সেই সময় একজন আধিকারিকের ফোন নম্বর বেসরকারি বাস মালিকদের দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা অসুবিধায় পড়বেন, তাঁরা যাতে সহজেই ওই আধিকারিককে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে সমাধান চাইতে পারেন।
এক্ষেত্রেও টোল ফ্রি নম্বর ও হোয়াটস্অ্যাপ নম্বর চালু করে সেই সুবিধাই পেতে চেয়েছেন বাস মালিকেরা। বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ”আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমতে থাকবে। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। তাই, যদি স্ক্র্যাপের কাজ থেকে শুরু করে রিপ্লেসমেন্ট অর্ডার সঠিক সময়ে বাস মালিকরা করতে না পারেন, তাহলে শহর তথা রাজ্যের গণপরিবহণ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়বে। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রী সহ পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনকে বিষয়টি জানিয়েছি।”