• রথ দেখতে গিয়ে রহস্য মৃত্যু স্কুল ছাত্রের, খুনের অভিযোগ পরিবারের
    এই সময় | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • রথ দেখতে বেরিয়ে রহস্য মৃত্যু স্কুল ছাত্রের। পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগড়ায়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে পাণ্ডুয়ার খন্যান পণ্ডিত পাড়ার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্র অর্পণ পণ্ডিত বন্ধুদের সঙ্গে উল্টোরথ দেখতে হোয়েরায় যায়। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি অর্পণ। ছেলেকে খুঁজতে খন্যান চৌমাথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন অর্পণের বাবা ধনঞ্জয় পণ্ডিত। সেই সময় দেখেন অর্পণের তিন বন্ধু অটো করে বাড়ি ফিরছে। অর্পণের বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করেন ধনঞ্জয়। কিন্তু অর্পণের বন্ধুরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি বলে দাবি তাঁর। এরপর ছেলের বন্ধুদের নিয়েই মগড়া থানায় যান অর্পণের বাবা। থানায় গিয়ে জানতে পারেন এক কিশোরকে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মগড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। এরপর হাসপাতালে গিয়ে আহত অবস্থায় নিজের ছেলেকেই দেখতে পান তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মগড়া থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় অর্পণকে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের।

    ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনায় মৃত ছাত্রের বাবা ধনঞ্জয় পণ্ডিতের অভিযোগ, অর্পণকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে এবং এই ঘটনার জন্য তাঁর ছেলের বন্ধুরাই দায়ী। ঘটনায় অর্পণের মা পম্মা পণ্ডিত জানান, তাঁর ছেলে রথ দেখতে গিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর ছেলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি। অর্পণের শরীরে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে বলেও দাবি করেন তার মা। ঘটনার অর্পণের মায়ের অভিযোগ, ছেলের ৩ বন্ধু মিলেই খুন করেছে তাকে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

    অন্যদিকে যে তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে একজনের মা আল্পনা ধারা বলেন, 'ওই ছেলেটা (অর্পণ) আমার ছেলের থেকে গাড়ির চাবি চায়। তারপর গাড়িটা নিয়ে যায়। কিন্তু তারপর থেকেই আর ওই ছেলেটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।' এদিকে এই ঘটনায় হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার বলেন, 'পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটানাটি খতিয়ে দেখছে।' একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'পরিবার যা অভিযোগ করবে, সেটিও খতিয়ে যাবে।' ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
  • Link to this news (এই সময়)