এবার মুখে রিটায়ারমেন্টের কথা, ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর মন্তব্য শুভেন্দুর
এই সময় | ১৭ জুলাই ২০২৪
'বিজেপিতেই রিটায়ারমেন্ট', বুধবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে দলীয় বৈঠকে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল নেতারা। 'যেদিন থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তবে থেকেই সেই দলের অবক্ষয় শুরু হয়েছে।' খোঁচা তৃণমূলের। এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, 'আমি বিরোধী দলনেতা, সংগঠনের কেউ নয়।' তাঁর মন্তব্য শুনে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, 'এটা কি ভোটে ভরাডুবির দায় ঝেরে ফেলার চেষ্টা?'২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩০-৩৫ আসন জয়ের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছিল বিজেপি। কিন্তু, হাতে এসেছে মাত্র ১২টি আসন। যা বঙ্গ গেরুয়া শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এরপর রাজ্যে চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে একটিও জিততে পারেনি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে আগামীদিনে বঙ্গে দলের নীতি কী হবে, কোথায় ভুল ছিল তা নিয়ে যে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।
লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপি যে ফলাফল করেছে তার প্রেক্ষিতে ‘চুলচেরা বিশ্লেষণ’ প্রয়োজন রয়েছে, তা স্বীকার করেও সংবাদ মাধ্যমের সামনে তা হবে না, এদিন জানান শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘আমি জাতীয়তাবাদী পরিবার থেকে এসেছি। মুকুল রায়ের মতো সব কেড়ে নেওয়ার পর বিজেপিতে আসিনি। আমি সব ছেড়ে দিয়ে বিজেপিতে এসেছি। বিজেপি এবং সনাতন ভারতীয় সংস্কৃতি, রাষ্ট্রবাদ, এখানেই আমার রিটায়ারমেন্ট হবে। এটুকু আমি আপনাদের কাছে কমিটমেন্ট করতে চাই।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন পাওয়ার নেপথ্যে অন্যতম ফ্যাক্টর মুকুল রায় ছিলেন, দাবি রাজনৈতিক মহলের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই ফের তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান দুর্গাপুরে পাঠানো, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী কারা হবেন, তা নির্বাচনে দলে ‘খামতি’ ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা চলছিল বিজেপির অন্দরেই। সেই সময় শুভেন্দুর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও শুভেন্দুর মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে আগে তো এটা বলতে হবে তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর সেই দলের জন্য কী করেছেন? গরম গরম কথা বলা, কোর্টে যাওয়া- এই সব করে মানুষের মন জয় করা যায় না।’
অন্যদিকে, নব্য এবং আদি বিজেপি নিয়ে আলোচনায় ইতি টানার চেষ্টা করতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। তিনি বলেন, 'নতুন পুরনো মিলিয়ে একটাই স্রোত। সেই স্রোতে যাঁরা আসবেন তাঁরা এক হয়ে এগিয়ে যাবেন।'