সালিশি সভায় যুবক-যুবতীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১১
এই সময় | ১৭ জুলাই ২০২৪
আবারও সালিশি সভা বসিয়ে যুবক ও যুবতীকে মারধর এবং হেনস্থার অভিযোগ। মালদার কালিয়াচক থানার বামনগ্রাম মোসিনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ জুলাই। এখনও অধরা ৮ জন।জানা গিয়েছে, ওই যুবক-যুবতীর মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে গত ১২ জুলাই তাঁদের সালিশি সভায় ডাকা হয়। ওই দিন সকালে ও রাতে ২ বসে সালিশি সভা। সেই সভায় তাঁদের মারধর করা হয়েই অভিযোগ। এরপর তাঁদের একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরেরদিন ফের মারধর করা হয় তাঁদের। এরপর গাছে বেঁধে রাখা হয় ও পরে মাথা ন্যাড়া করে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গোটা এলাকা ঘোরান হয়। এদিকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আক্রান্ত যুবক ও যুবতীকে উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযোগও দায়ের হয়। মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ তারিখ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিনই ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। সওয়াল জবাব শেষে ধৃতদের ২০ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এই ঘটনায় সরকারি আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল জানান, ওই যুবক ও যুবতী উভয়েই আগে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু উভয়েরই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক হয় এবং একবছর আগে বিয়েও করেন তাঁরা। যুবক রাঁচিতে ফেরিওয়ালার কাজ করেন। আর যুবতী থাকেন কালিয়াচকে। ওইদিন স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করতেই এসেছিলেন যুবক। এদিকে এরই মাঝে বিষয়টি জানতে পারেন যুবতীর প্রাক্তন স্বামী। তিনি বিষয়টি সালিশিতে জানান। এরপরেই সালিশি সভা বসিয়ে ওই যুবক ও যুবতীকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, মানহানি সহ বেশকিছু ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বাকি ৮ জনের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতেও সালিশি সভায় এক যুবক ও যুবতীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে ব্যক্তি মূলত ওই যুবক ও যুবতীকে মারছিল, তার নাম 'জেসিবি'। পরে অবশ্য ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।