১০ দিন পর উদ্ধার সিকিমের নিখোঁজ প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহ, হাতঘড়ি দেখে শনাক্ত
এই সময় | ১৭ জুলাই ২০২৪
নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পরে উদ্ধার হল সিকিমের প্রাক্তন মন্ত্রী রামচন্দ্র পৌড়েলের পচাগলা দেহ। বাংলাদেশে তিস্তা নদীর চর থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহটি ৷ মঙ্গলবার গভীর রাতে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ ও মৃতের পরিবারের হাতে দেহটি তুলে দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। ময়নাতদন্তের পরে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে দেহটি মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ ও মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেয়।মৃতের পরিবার সূত্রে খবর গত ৭ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর আশির রামচন্দ্র পৌড়েল। সিকিমের পকিয়ং থানায় এই বিষয়ে মিসিং ডায়েরি করেছিল পরিবার। সেদিন সকাল ৯টা নাগাদ সিকিমে তাঁর ছোট সিংতামের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন পরিবারকে। বিকেলের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসার কথাও ছিল। কিন্তু তিনি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পাশাপাশি সিকিমের পকিয়ং থানার পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত নামে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সিকিম-বাংলা সীমানার কাছে রংপো এলাকায় শেষবারের মতো কার্যকরী ছিল মোবাইল ফোনের সিগন্যাল। এরপরে শিলিগুড়ির বিভিন্ন থানাতেও যোগাযোগ করে সিকিম পুলিশ৷
এদিকে আদিতমারী থানা সূত্রে দেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পেরে মেখলিগঞ্জ থানা ও বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিকিম পুলিশ৷ এরপরেই সিকিমের প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহ আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বাংলাদেশ থেকে ভারতের হাতে হস্তান্তর করা হয়৷ মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটারও পরে বিএসএফ-বিজিবির নিরাপত্তার মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ দেহটি মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ ও মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেয়৷ পরিবারের লোকজন বুধবার তাঁর দেহ নিয়ে সিকিমের বাড়িতে পৌঁছেছেন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশ একটি অজ্ঞাত পরিচয় দেহ উদ্ধার করে। সামাজিক মাধ্যমে সেই সংক্রান্ত ছবিও দেওয়া হয়। সেই ছবিতে দেহের হাতে থাকা ঘড়ি দেখে সিকিমের প্রাক্তন মন্ত্রীর পরিবারের সন্দেহ হয়৷ এই বিষয়ে মৃতের ভাইপো ধীরাজ পৌড়েল জানান, হাতঘড়ি দেখে তাঁরা দেহটি শনাক্ত করেছেন। এরপরে ঘরে থাকা সেই হাতঘড়ির অংশের সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত হন।
বাংলাদেশ পুলিশের অনুমান দেহটি তিস্তা দীর্ঘদিন ভেসে থাকার কারণে আঙ্গুল সহ শরীরের নানা অংশে পচন ধরেছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশের এক পুলিশ আধিকারিক জানান, তাঁরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিস্তার চরে অজ্ঞাত পরিচয় দেহ পড়ে রয়েছে বলে খবর পান। এরপরে ময়নাতদন্তের করে নিয়ম মেনে দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে৷ এদিকে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, 'হাতঘড়ি দেখে দেহ চিহ্নিত করেছে পরিবার৷ ময়নাতদন্তের পরে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে দেহটি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ পুলিশ ও মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে৷'