গৃহবধূর স্বামীকে শিকলে বেঁধে মারধর, নির্মম ঘটনা সোনারপুরে, পদক্ষেপ লাভলির
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ জুলাই ২০২৪
সোনারপুরের বাসিন্দা জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন এলাকার নানা মহিলারা। জামাল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে ছড়িয়ে পড়লেও তা খারিজ করে দিয়েছেন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। এক মহিলাকে শিকলে বেঁধে অত্যাচার করার অভিযোগ ওঠে জামাল সর্দারের বিরুদ্ধে। ওই জামালের বিরুদ্ধে রুবিজান বিবি নামে আরও এক গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী শাহরুখ শেখকে শিকলের সাহায্যে উল্টো করে ঝুলিয়ে সারারাত মারধর করেছে জামাল সর্দার। তাঁকে বাঁচাতে হাত–পা ধরলেও রেহাই মেলেনি। তবে এই জামালউদ্দিন সর্দারের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই বলে জানান সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলি মৈত্র।
এদিকে রুবিজান বিবির অভিযোগ, তাঁর স্বামী শাহরুখ শেখকে চেনের সাহায্যে উল্টো করে ঝুলিয়ে সারারাত মারধর করা হয়। স্বামীকে বাঁচাতে জামালের হাতে পায়ে ধরলেও মারধর থামেনি। অভিযুক্ত জামাল সর্দারকে গ্রেফতার করা হবে এবং আইন আইনের পথে চলবে বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। একই সঙ্গে লাভলি বলেন, ‘জামালের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো যোগ নেই। জামাল কোনও কর্মী নয় তৃণমূল কংগ্রেসের। কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বও নেই। দলের সদস্যও নয়। যে অন্যায় কাজ করেছে জামাল তার জন্য শাস্তি পেতে হবে। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। জামালকেও যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করা হবে।’
অন্যদিকে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান, আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং, কুলতলির সাদ্দাম সর্দারের পর এবার সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের কীর্তি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এই অত্যাচারের বিষয়ে রুবিজান বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। আমার মামা শ্বশুর জামালকে জানাতেই আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। ওকে শিকল দিয়ে উল্টো করে টাঙিয়ে মারধর করে।’ রশিদা বিবির বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে যান বিধায়ক লাভলি মৈত্র। জামালের হাতে নির্যাতিতা মহিলা রশিদা বিবি এবং রুবিজান বিবির সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক। আর বলেছেন, ‘এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কেন সাহায্য করেনি তা দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।’
এছাড়া অভিযুক্ত জামাল এখন পলাতক। তার সন্ধানে নানা জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে সোনারপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় মজিদ খাঁ ও অরবিন্দ সর্দার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। লাভলির কথায়, ‘যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার শাস্তি চাই। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই। উনি নিজেই বলছেন। তবে ওনার অভিযোগ জামাল অত্যাচার করেছে। শিকলে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। জামাল এখন পলাতক। ওর খোঁজ চলছে। তবে এই ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ নন। কোনও পদেই নেই।’