• ‘সিপিএমের সবথেকে আদর্শ ছাত্রী হলেন মমতা…আমাদের লড়াই কঠিন,’ মেনে নিলেন সুকান্ত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ জুলাই ২০২৪
  • বুধবার কলকাতার সায়েন্স সিটিতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির বর্ধিত প্রদেশ কার্যকারিণী বৈঠক ছিল। সেখানে বিজেপির তাবড় নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব একের পর এক প্রসঙ্গ তুলে আনেন। 

     সুকান্ত মজুমদার বলেন,  ‘পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সঙ্গে ভারতের রাজনীতির প্রেক্ষাপট আলাদা। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট যে ভোটে দুর্নীতি শুরু করেছিল..সায়েন্টিফিক রিগিং তৃণমূল তাকে এক ধাপ উৎকর্ষতায় নিয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হলেন সিপিএমের সবথেকে আদর্শ ছাত্রী। সেই পথকে অনুসরণ করে তারা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি আমাদের লড়াই কঠিন। এই লড়াই থামালে চলবে না। আমাদের ৪০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, ভারতের কথা ভেবে ভোট দিয়েছে। কেউ কেউ বলছে দাদা আমার মনে হয় এই ৪০ শতাংশের বাইরে যারা আছেন তারাও দেশকে ভালোবাসেন। কিন্তু ছোটখাটো বিষয়ে তারা লোভে পড়ে, ভয়ে, মতপ্রকাশের মতো পরিবেশ না পেয়ে…’

    সুকান্ত বলেন, ‘৪০ শতাংশ মানুষ দেখেছেন কাশ্মীর অশান্ত ছিল সেই কাশ্মীরকে শান্ত করার দিকে এগিয়েছেন মোদী। তারা ভোট দিয়েছেন। তাদের কথা ভেবে আমাদের ঘরে বসে থাকলে হবে না। এই ৪০ শতাংশ মানুষের কথা ভেবে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। তাঁদের ভোটের মর্যাদা দেওয়ার জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। 

    কিছু মানুষ ১০০০-১২০০ টাকার মোহ থেকে বের হতে পারেননি। অনেকেই বলছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মোহ থেকে তারা বের হতে পারেননি। আমি জানি না আগামী দিনে সেটা যখন পর্যালোচনা করা হবে তখন হয়তো এটা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আমার মনে হয় এটা হয়তো এটা কারণ হতে পারে। মা হয়তো ১০০০ টাকা বা ১২০০ টাকা করে পাচ্ছেন কিন্তু ছেলেকে কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে যেতে হচ্ছে। যে ১০০০ টাকা ১২০০ টাকা দিচ্ছে সেটাই ইলেকট্রিক অফিস অন্য দিক দিয়ে পকেটমারি করে চলে যাচ্ছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের রোলটা অনেকটা পকেটমারের মতো। সামনে আপনাকে ১২০০ টাকা করে দিচ্ছে আর ইলেকট্রিক বিল, মদের দাম, পেট্রলের দাম, তরিতরকারির দাম এসবের মাধ্যমে নিয়ে চলে যাচ্ছে। মাননীয় মুখ্য়মন্ত্রী আমরা যে সনাতনী সংস্থাগুলিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি…ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতি মুখ্য়মন্ত্রীর কটাক্ষ সেটা তারা ভুলে গিয়েছিলেন ভোটের দিন। ’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)