'বিজেপির দুই সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন', বিস্ফোরক দাবি কুণালের
এই সময় | ১৮ জুলাই ২০২৪
বিজেপির দুই সাংসদ তৃণমূলে যোগ যোগ দিতে চান, বুধবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। যদিও এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন বলেও জানিয়েদেন কুণাল। আপতত ওই দুই সাংসদকে তৃণমূলের তরফে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাও জানান তৃণমূল নেতা।কুণাল ঘোষ বলেন, 'বিজেপির থেকে দু'জন নিশ্চিতভাবে যোগ দিতে চাইছেন, এবং ২১ জুলাই তাঁরা আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তাঁরা সাংসদ। কিন্তু সেই বিষয়টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন। তাছাড়া সবে নির্বাচন হয়েছে। তাই সরাসরি এলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে কী হতে পারে, সেগুলি না দেখে তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না। তবে সেই দু'জনকে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বিজেপিতেই থাকতে, ওখানে কী আলোচনা হচ্ছে সেগুলি সময় মতো জানাতে।' তবে এদিন এই প্রসঙ্গে সরাসরি কারও নাম করেননি কুণাল। এমনকী এদিন বিজেপির যে বৈঠক হয়েছে, সেখানেও তাঁদের উপস্থিত থাকার কথা বলে জানান কুণাল ঘোষ।
এখানেই শেষ নয় কুণাল আরও দাবি করেন, বিজেপির একাধিক সাংসদ বিধায়ক যোগাযোগে ছিলেন। তবে দু'জন সাংসদ একেবারে ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে আসারই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে এই বিষয়ে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, 'ওসব কিছু না। ভাবছে এই সমস্ত বলে বিজেপির মধ্যে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করা যাবে। এগুলো সস্তার ছক। ওঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা কতটা, তা এর থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। মস্তিষ্ক বিকৃতি হলে যা হয়, এগুলি তারই লক্ষণ।'
এদিকে এদিন বিজেপির সভার পর সাংবাদিক বৈঠকে 'সব কা সাথ, সব কা বিকাশ বন্ধ কর' বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই নিয়েও পাল্টা কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণাল বলেন, 'এটা তো সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সরকার ও দলের স্লোগানের বিরোধিতা করা। আমরা বারবার বলেছিলাম এটা ভুয়ো, এটা হচ্ছে না। আর এখন বিজেপির মধ্যে থেকেই বন্ধ করতে হবে বলে খুব উগ্রভাবে বলা হল। বলা হল, এই স্কোগান চলবে না। বিজেপি বুঝুক!' উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।