ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাকে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের গোবিন্দপুর উত্তরপাড়া এলাকায়। এক মহিলাকে শিশু চোর সন্দেহে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।সূত্রের খবর, বুধবার সকাল থেকেই এক মহিলা শান্তিপুর গোবিন্দপুর উত্তরপাড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেই সময় তাঁকে শিশুচোর সন্দেহে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠল এলাকার মহিলাদের বিরুদ্ধে। এরপর তাঁর কাছে বই খাতা, কলম ইত্যাদি উদ্ধার হলে এলাকাবাসীর সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপর তাঁকে মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। কিছুদিন আগে শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এই মহিলা। এরপর বুধবার শান্তিপুরের গোবিন্দপুর উত্তরপাড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন তিনি। সেই সময় এলাকাবাসী তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। যদিও পরবর্তীতে পুলিশের তরফে ওই মহিলাকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি শান্তিপুর থানার হরিপুর সাহেবডাঙা এলাকায়। ফের এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই জন্য প্রশাসনের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে। যদিও ওই মহিলাকে কি আদৌ মারধর করা হয়েছিল? সেক্ষেত্রে কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' এই প্রসঙ্গে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, 'মহিলাকে তাঁর বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছেলেধরা সন্দেহে বসিরহাটে এক যুবককে গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁকে উদ্ধার করার পর চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মমিনপুর উত্তরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছিল। তাঁর হাতে একটি বস্তা দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপরেই তাঁকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনাগুলি ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনের তরফে সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছিল নিয়মিতভাবে।