মান্যতা নেই এই বিয়ের, সালিশি সভার বিচারে দম্পতির চুল কেটে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল গ্রামে!...
আজকাল | ১৮ জুলাই ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! পরকীয়ার অভিযোগে এক দম্পতিকে সালিশি সভায় ডেকে বিচার। দম্পতিকে গাছে বেঁধে মারধরের পাশাপাশি জল খেতে না দেওয়া। সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে মাথার চুল কাটা এবং জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো। অভিযোগ উঠল মালদার কালিয়াচকে। ঘটনার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় সিপিএম সদস্য সেতায়ুর রহমানের দিকে। যদিও সেতায়ুরের দাবি, ফাঁসানোর জন্যই এই অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এখনও অধরা অভিযুক্ত সিপিএম নেতা।
বিয়ে ঘিরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিয়ে করার আগে তাঁদের উভয়ের জীবনেই বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা আছে। নিগৃহীত ব্যক্তি রাঁচিতে হকারের কাজ করেন। মাঝে মাঝে তাঁর বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। গত ১২ জুলাই নিগৃহীতা মহিলার প্রাক্তন স্বামী ও বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী মিলে সালিশি সভা বসায়। সভায় দম্পতির বিয়েকে তারা মান্যতা না দিয়ে মারধর ও আটকে রাখা ছাড়াও জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরায়। গত শুক্রবারের পর শনিবারও দম্পতির ওপর অত্যাচার হয় বলে অভিযোগ। শনিবার পুলিশ গিয়ে তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীত ব্যক্তি। যে ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী।
ঘটনায় বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ির অভিযোগ, বর্তমান সরকারের আমলে কারুর নিরাপত্তা নেই। জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির অভিযোগ, স্থানীয় সিপিএম সদস্যের নেতৃত্বে এই সালিশি সভা বসেছিল। অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএম নেতা কৌশিক মিশ্র বলেন, ফাঁসানোর জন্য তাঁদের দলের সদস্যের নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।