• '২১ জুলাই সভা ধর্মতায়, হাওড়া থেকে ছবি তুলে ফিরে আসবেন না', কেন এই বার্তা তৃণমূল নেতার?...
    আজকাল | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: হাওড়া স্টেশন থেকে অনেকেই ছবি তুলে ফিরে আসেন। ধর্মতলায় আর যান না। এবার আর সেটা করা যাবে না। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের। তৃণমূলের শহিদ দিবসের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গেছে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি। মঙ্গলবার রাতে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় চুঁচুড়া বিধানসভার প্রস্তুতি সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ নির্মাল্য চক্রবর্তী, হুগলি জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী-সহ পুরসভা ও পঞ্চায়েত সদস্যরা।

    শহিদ দিবসকে সফল করতে বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল করে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হন বহু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। এদিন তারই প্রস্তুতি সভা ছিল হুগলি চুঁচুড়া পুরসভায়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অরিন্দম গুঁইন বলেন, সবাই জানেন তো সভাটা কোথায় ডাকা হয়েছে? একুশে জুলাই কোথায়? নিচে বসে থাকা কর্মীরা উচ্চস্বরে বলেন "ধর্মতলা"। তারপরেই সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, 'হাওড়া স্টেশনে সভা ডাকা হয়নি। অনেককেই দেখেছি হাওড়া স্টেশনে ছবি তুলে চলে আসে। মমতা ব্যানার্জির ডাকে আমরা একুশে জুলাই যে সভা সেই সভায় সারা হুগলি জেলার টাউন ও ব্লকে সভা করা হয়েছে। তাই আশা করব সকলেই যাবে।'

    অরিন্দম আরও বলেন, 'একুশে জুলাই আমাদের শহীদ তর্পণ। দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি কী বার্তা দেন সেটাই আমরা শুনতে যাই। বিগত বছরগুলির তুলনায় এ বছর হুগলি জেলা থেকে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যাবে ধর্ম তলায়। যা বিগত দিনে রেকর্ড ভেঙে দেবে। একুশে জুলাই ধর্মতলায় আমরা যাব। সবাইকে বলছি না, তবে কিছু আছেন যাঁরা হাওড়া স্টেশন থেকে আর যেতে চান না। একটা কমিউনিকেশন ব্যাপার থাকে যা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না । কিন্তু আমাদের একটা আবেদন নিবেদন আছে যে করেই হোক পায়ে হেঁটে ধর্মতলায় যেতে হবে।

    ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)