সৌমেন ভট্টাচার্য: রাজধানী থেকে নিখোঁজ ব্যক্তি। রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন পরিবারের। দেশজুড়ে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে রেলের গাফিলতি উঠে এসেছে কমিশনের রিপোর্টে। এরইমধ্যে দেশের অন্যতম প্রিমিয়াম ট্রেন রাজধানী থেকে নিখোঁজ হয়ে গেল বছর ৪০-এর এক বাসিন্দা। ব্যক্তির পরিবারের তরফে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
দমদম ক্যান্টমেন্টের বাসিন্দা বছর ৪০-এর মৌসম ঘোষ গত জুন মাসের ২৭ তারিখ রাজধানীতে চেপে দিল্লি থেকে শিয়ালদহ ফিরছিল। ২৮ তারিখ সকালে তার ফিরে আসার কথা ছিল কিন্তু তিনি আর ফেরেননি। ওইদিন শিয়ালদহ থেকে তাঁকে আনতে গিয়েছিলেন তাঁর এক বন্ধু। কিন্তু তিনি তাঁকে খুঁজে পাননি। তাঁর ফোন বেজে যাচ্ছিল, কেউ ধরছিল না। এরপরে RPF ফোন ধরে বলেন, তাঁর ফোন পাওয়া গিয়েছে। এরপরে ওই বন্ধুর তরফে মৌসমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা তড়িঘড়ি শিয়ালদহ পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে তাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। মৌসমের লাগেজ ও মোবাইল থাকলেও, মৌসম নিখোঁজ।
এরপরে পরিবার শিয়ালদহ জি আর পি-র দারস্থ হলেও কোনও নিখোঁজ ডায়েরি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে দমদম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু ১৫ দিন কেটে গেলেও, এখনও ওই ব্যক্তির কোনও খোঁজ না মেলায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত গোটা পরিবার। পরিবারের দাবি, রাজধানীর মতো একটি ট্রেন যেখানে প্রতিটা কামরায় সিসিটিভি থাকে, সেখান থেকে কী করে একজন নিখোঁজ হয়ে গেল? এখনও তাকে খুঁজেও পাওয়া গেল না! রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। পুলিস সূত্রে খবর, তারা সমস্ত জায়গায় নিখোঁজ মৌসম ঘোষের তথ্য পাঠিয়েছেন। রেলের থেকে তথ্য নেওয়ার জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু রেলের তরফে কোনও তথ্য এখনও পাঠানো হয়নি।