• মহকুমার তিন ব্লকের উপর দিয়ে যাবে হলদিয়া-পানাগড় এলপিজি পাইপলাইন
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর মহকুমার তিন ব্লকের উপর দিয়ে হলদিয়া-পানাগড় এলপিজি গ্যাসের পাইপ লাইন যাবে। মহকুমার কোতুলপুর, ইন্দাস ও পাত্রসায়র এই তিন ব্লকে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ বসানো হবে মাটির নীচে। সম্প্রতি এনিয়ে হিন্দুস্থান পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের পক্ষ থেকে বাঁকুড়ার জেলাশাসককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিহ্নিত জমির গভীরে পাইপ বসানোয় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে জেলাশাসক সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছেন। 


    বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, হলদিয়া থেকে পানাগড় পর্যন্ত পাইপ লাইনের মাধ্যমে এলপিজি গ্যাস সরবরাহ করবে। তার মধ্যে জেলার তিন ব্লকে পাইপলাইন বসানো হবে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছে। 


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবহণ সমস্যার জন্য ২০২২ সালে ভারত সরকার পাইপ লাইনের মাধ্যমে এলপিজি সরবরাহের প্রকল্প হাতে নেয়। হলদিয়া থেকে সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে পানাগড়ে এলপিজি গ্যাস নিয়ে আসার একটি প্রকল্প তৈরি হয়। মোট ২০২ কিলোমিটার পাইপ বসানো হবে। তা পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা দিয়ে যাবে। তার মধ্যে বাঁকুড়া জেলার তিন ব্লকে মোট ৩২.২ কিলোমিটার রয়েছে।  কোতুলপুরে সাড়ে ৮ কিলোমিটার, ইন্দাসে ১৪.৩ কিলোমিটার এবং পাত্রসায়রে ৯.৪ কিলোমিটার রয়েছে। মাটির ১২ মিটার গভীর দিয়ে পাইপ লাইন যাবে। তাতে এলাকায় সাধারণের কোনও ঝুঁকি থাকবে না। আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে শুনানিও হয়ে গিয়েছে। ভারত সরকারের গেজেট বিজ্ঞপ্তিও বেরিয়েছে। এরপর কর্তৃপক্ষ পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু করবে। কিন্তু পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে অনেক রাস্তা, ড্রেন খুঁড়তে হবে। তাতে সাধারণের সাময়িক অসুবিধা হবে। সেজন্য গোটা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে দেখার জন্য বলা হয়েছে। খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ, ফসল, সহ সরকারি ও বেসরকারি মালিকপক্ষকে নিয়মমাফিক ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। এ নিয়ে গ্রামবাসী এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়ে হিন্দুস্থান পেট্রলিয়াম কর্তৃপক্ষ বাঁকুড়ার জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছে। জেলাশাসক সম্প্রতি এনিয়ে বিষ্ণুপুর মহকুমা এবং কোতুলপুর, ইন্দাস ও পাত্রসায়র এই তিন ব্লক প্রশাসনকে তা দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।  


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বড় বড় ট্যাঙ্কারে করে হলদিয়া থেকে পানাগড়ে গ্যাস নিয়ে আসা হয়। তাতে পরিবহণ খরচ যেমন বাড়ছে। তেমনই রাস্তায় যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে। মাটির তলা দিয়ে সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ হলে সেই সমস্যা থাকবে না। তবে পাইপ লাইন বসাতে স্থানীয়দের অনেক জমির ফসল নষ্ট হতে পারে। খোঁড়াখুঁড়িতে সরকারি রাস্তা ও ড্রেন ভাঙতে পারে। সেজন্য অবশ্য কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেবে।  প্রতীকী ছবি     
  • Link to this news (বর্তমান)