• হলদিয়ায় জাতীয় সড়কে টোটো ও ভ্যানো চলাচল বন্ধ করল পুলিস
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: হলদিয়ায় ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে টোটো ও ভ্যানো (মোটরচালিত ভ্যান) চলাচল বন্ধ করল পুলিস। নিষেধাজ্ঞা না মানলে জরিমানার পাশাপাশি কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিস সতর্ক করেছে। টোটো বা ভ্যানো চালকদের কেস দেওয়ার পাশাপাশি গাড়িও আটক করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তবে জাতীয় সড়ক বাদ দিয়ে অন্যান্য রাস্তায় টোটো চলাচলে কোনও বাধা নেই। সম্প্রতি বাজকুলে ভ্যানোর সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যুর পর এই পদক্ষেপ করছে পুলিস। জেলা পুলিসের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুরজুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকাতেই পড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। সিটি সেন্টার ও ব্রজলালচকের টোটো ইউনিয়নের নেতা ও প্রতিনিধিদের ডেকে পুলিস ও ট্রাফিক বিভাগ এই বার্তা দিয়েছে। হলদিয়ার এসডিপিও অরিন্দম অধিকারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই হাইকোর্টের একটি নির্দেশ ছিল জাতীয় সড়কে টোটো ও ভ্যানো যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে না। সেই নির্দেশ বলবৎ থাকলেও তার প্রয়োগ সেভাবে হয়নি। জাতীয় সড়কে ক্রমাগত দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু বাড়তে থাকায় এবার হাইকোর্টের নির্দেশ কড়াভাবে বলবৎ করতে বলা হয়েছে বিভিন্ন থানা এলাকায়। হলদিয়ায় জাতীয় সড়কে হাজার হাজার দ্রুতগতির ভারী গাড়ি যাতায়াত করে। সেখানে টোটো ও ভ্যানোর মতো গাড়িতে যাতায়াতে জীবনের ঝুঁকি থেকেই যায়। টোটো ও ভ্যানো চালকদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, টোটো রেজিস্ট্রেশনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। 


    টোটোর বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী তোলার অভিযোগ রয়েছে। বাসকর্মীদের অভিযোগ, টোটোর দৌরাত্ম্যে তাদের যাত্রী সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে এবং লোকসান হচ্ছে। লং রুটে টোটো চলাচল করায় বাসে যাত্রী কমে গিয়েছে হলদিয়ায়। এদিকে হলদিয়ায় জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বহু স্থানীয় যাত্রী। হলদিয়ায় সন্ধের পর থেকেই বাসের সংখ্যা কমে যায় এবং চাকরিরত মহিলাদের টোটোই ভরসা। টোটো চলাচল গত দু’দিন ধরে বন্ধ থাকায় বহু মানুষ বিপাকে পড়েছেন। এদিকে, জাতীয় সড়কে টোটো বন্ধ হওয়ায় বহু টোটচালকের রুটিরুজি বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। সিটি সেন্টার টোটো ইউনিয়নের নেতা শেখ নুর ইসলাম বলেন, ভবানীপুর থানা এলাকায় জাতীয় সড়কে চার-পাঁচটি স্ট্যান্ডে প্রায় ৩০০ টোটো রয়েছে। জাতীয় সড়কে বহু শর্ট রুটে যাত্রীরা টোটোর ভরসায় থাকেন। ফলে টোটোর আয়ের একমাত্র পথ জাতীয় সড়ক। ওই রাস্তায় চলাচল করতে না দিলে রুটিরুজি বন্ধ হবে। পুলিস এ বিষয়ে কিছু শর্ত দিয়ে সুযোগ দিক এই আবেদন করছি। একইসঙ্গে পুলিস টোটো চালকদের রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে। হলদিয়ার মহকুমা শাসক বলেন, টোটো নিয়ে আমরা পুলিস ও আরটিওর সঙ্গে কথা বলে লাইসেন্স ও নির্দিষ্ট ভাড়ার চার্ট নিয়ে আলোচনা করব।
  • Link to this news (বর্তমান)