• প্রশাসনের আবেদনে লাভ হয়নি, মায়াপুরে ফুটপাত দখল করে রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: এক সপ্তাহ আগেই জবরদখল সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল প্রশাসন ও পঞ্চায়েত। কিন্তু তা সত্ত্বেও মায়াপুরের একশ্রেণির ব্যবসায়ী সরকারি জায়গায় বহাল তবিয়তে ব্যবসা করে চলেছেন। ফলে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র মায়াপুরেই জবরদখলের জেরে যানজট ও অব্যবস্থা দেখা দিয়েছে। অনেক স্থায়ী ব্যবসায়ীও নর্দমার উপর দোকান বাড়িয়ে নিয়েছেন।


    রথযাত্রার আগে দু’দিনের মধ্যে সরকারি জায়গা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দোকান সরানো দূরে থাক, মায়াপুরের গৌরনগর কালভার্টের মোড় থেকে হুলোরঘাট পর্যন্ত রাস্তায় জবরদখলকারীদের অনেকে রাস্তার উপর দোকান বাড়িয়ে নিয়েছেন। ত্রিপল টাঙিয়ে বেঞ্চ পেতেও ব্যবসা চলছে। গৌরনগর মোড় থেকে ইসকন পর্যন্ত নিকাশিনালা দখল হয়ে গিয়েছে। ইসকনের মূল গেটের সামনে বেশ কিছু দোকান মালিক নিকাশিনালার স্ল্যাবের উপর পাকাপোক্তভাবে পাথর বসিয়ে মোজাইক করে দোকান বাড়িয়ে নিয়েছেন। সেইসঙ্গে দোকানের টিনের চালাও বাড়িয়ে নিয়েছেন।


    নবদ্বীপ পঞ্চায়েতের সমিতির সহ-সভাপতি তাপস ঘোষ, মায়াপুর- বামুনপুকুর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান মৈয়েত্রী ঘোষ পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে জবরদখল সরানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।


    প্রতি বছরই মায়াপুরে আসেন সুজিত রায়। তিনি বলেন, আমার বাড়ি বারাসতে। এখন আমেরিকায় থাকি। বিদেশে রাস্তাঘাট সবসময় পরিষ্কার থাকে। আমাদের এখানেও রাস্তার পাশে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা বন্ধ করা দরকার।


    প্রবীণ ভ্যানচালক পটল মণ্ডল বলেন, আগে যখন রিকশ চালাতাম, তখন এমন জবরদখল ছিল না। যেভাবে দিনের পর দিন রাস্তার উপর দোকান চলে আসছে, তাতে সত্যি সমস্যা বাড়ছে।


    কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে মিনিবাসে পর্যটক নিয়ে এসেছিলেন শুভঙ্কর দাস। তিনি বলেন, আগে মায়াপুরে আসতে খুবই কষ্ট হতো। এখন অনেক চওড়া রাস্তা। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্যবসায়ী রাস্তা অবধি দোকান বাড়িয়ে নিয়ে এসেছেন। ফলে যানজট হচ্ছে।


    পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, মায়াপুরে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সেকথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাস্তা চওড়া করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন। এর আগে ব্যবসায়ীরা আবেদন করেছিলেন, রথের সময় যেন দোকান না ভাঙা হয়। আমরা সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করেছিলাম। কিন্তু অনেকেই সরকারি জায়গার দখল ছাড়ছেন না। গুটিকয়েক লোকের জন্য আন্তর্জাতিক তীর্থস্থানের সুনাম নষ্ট হতে পারে না। এবার দুই-একদিনের মধ্যে আমরা মাইকিং করব। তাতেও কাজ না হলে আইন আইনের পথে চলবে।  রাস্তা আটকে চলছে দোকান। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)