যানজট সহ শহরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পুরসভার অত্যাধুনিক পরিকল্পনা
বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: পুনর্বাসন না দিলে মিটবে না বোলপুরের যানজট সমস্যা। পুরসভার তরফে ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযান চালানো হলেও সেই একই পরিস্থিতি রয়েছে শহরজুড়ে। অস্থায়ীভাবে ফুটপাত, এমনকী রাস্তার উপর অস্থায়ীভাবে চলছে ব্যবসা। তার ফলে আগের থেকেও বেশি যানজটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বোলপুরে। যদিও পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, শহরের সৌন্দর্যায়ন সহ প্রধান এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে অত্যাধুনিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
রাস্তার দু’ধারে ফুটপাত দখল করে অবৈধ ব্যবসার কারণে যানজট হচ্ছিল রাজ্যের সর্বত্র। তার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। তাঁর নির্দেশ মতোই প্রায় ১০ দিন ধরে বোলপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযান চলছে। ইতিমধ্যেই প্রায় তিনশোর বেশি অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও সরকারি জমি দখল করে থাকা প্রচুর বাড়ির সীমানা প্রাচীর সহ বর্ধিত অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন যাওয়ার রাস্তার দু’ধারে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। তার মধ্যে বিশেষ করে বোলপুর সিনেমাতলা, হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা সহ আরও বেশ কিছু জায়গা রয়েছে। পুরসভার এই পদক্ষেপের পর মনে করা হয়েছিল শহরে যানজটের সমস্যা মিটবে। কিন্তু ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযানের সাতদিনের মধ্যেই ফের একই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এমনকী কোথাও আবার আগের থেকেও বেশি মাত্রায় ফুটপাত দখল করে রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। দেখা গিয়েছে স্থায়ীভাবে বানানো কংক্রিটের দোকান ভেঙে দেওয়া হলেও সেখানে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করছেন অনেকেই। ছাতা বসিয়ে ও টুল, চেয়ার, টেবিল রেখে নিজেদের ভাঙা দোকানের জায়গাতেই জিনিস কেনাবেচা করছেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে চা, তেলেভাজা, মাছ মাংস, ফাস্টফুড সহ সমস্ত দোকান রয়েছে। সকাল থেকে ব্যবসা শুরু করছেন অনেকেই। সন্ধ্যার সময় আগের থেকেও বেশি যানজটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বোলপুরে। পুরসভার ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযানের আগে যে স্থানে দোকান ছিল, সেখানে এখন কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ। তাই ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে রাস্তার আরও কাছে এগিয়ে এসে নিজেদের দোকানদারি শুরু করেছেন। তার ফলে যানজটে নাকাল হয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শহরবাসী। যদিও বোলপুর পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে নজরদারি রাখা হচ্ছে। একাধিক অস্থায়ী বেআইনি দোকান নর্দমা বন্ধ করে ব্যবসা করছিলেন। তাই জল নিকাশির সমস্যা ও যানজটের অসুবিধায় জেরবার হচ্ছিলেন শহরবাসী। আমরা বোলপুরকে যানজট মুক্ত করতে ও তার সৌন্দর্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এই পরিকল্পনা মাফিক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান ও প্রথম লক্ষ্য শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন যাওয়ার রাস্তা যানজট মুক্ত করা। রাস্তা দখল করে কাউকে আর বসতে দেওয়া হবে না। সরকারি বিভিন্ন বাজার ও জমিতে একাধিক ব্যবসায়ী জায়গা পাবেন। আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও শহরকে সৌন্দর্য মুখর করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।