সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: পাঁচ বছর ধরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভাণ্ডার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্যানেল সংস্কার না হওয়ায় জলমগ্ন প্রায় কয়েকশো বিঘা চাষের জমি। চলতি মাসে একটানা বৃষ্টির জেরে কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদ ব্লকের কোনও জমিতে হাঁটুজল, অনেক জায়গায় কোমর পর্যন্তও জমে রয়েছে। ফলে ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা। চাষ করে সংসার চালানো কৃষকরা ফসল বুনতে না পারার আশঙ্কা করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেও কাজ হচ্ছে না বলে ক্ষুব্ধ কৃষকরা।
মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদ ব্লকের টুঙ্গইল, বিলপারা, রতিবাটি, মিনাপাড়া, মহিপুর, ভাতুড়া গ্রামের চাষের জমিতে জল জমে রয়েছে। এই নিচু জমির জল নিষ্কাশনে এলাকায় একটি ক্যানেল থাকলেও সেটি কচুরিপানায় ভরা। কিছু এলাকায় মাছ ধরার জন্য আল বেঁধে রাখা হয়েছে। ফলে জলমগ্ন হচ্ছে চাষের জমি।
এলাকার কৃষক বঙ্কেশ বর্মন ও হাজারু বর্মন বলেন, বর্ষায় জমিতে জমা জল বের করতে কালিয়াগঞ্জের বিলপারা থেকে চাদবাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিমি লম্বা, কুড়ি ফুট চওড়া ক্যানেল রয়েছে। এই ক্যানেল দিয়ে জল গামারি নদীতে পড়ে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সেটির সংস্কার হয়নি। কচুরিপানা সহ বিভিন্ন আবর্জনা জমে রয়েছে। সেজন্য জল যেতে পারছে না। ২০১৭ সালে বন্যার সময় এই জমিতে জল জমেছিল। তবে ক্যানেল পরিষ্কার থাকায় সেই সময় জল বেরিয়ে যায় দু’দিনেই। কিন্তু এখন জল বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ।
কৃষকদের এই সমস্যা প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নিতাই বৈশ্য বলেন, ক্যানেল পরিষ্কারের দায়িত্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের। অবিলম্বে ফান্ড জোগাড় করে জমিতে জমা জল বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।
অপরদিকে, এলাকার কৃষদের সমস্যা খতিয়ে দেখতে এলাকায় গিয়েছিলেন ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান জীবেশ দেবশর্মা। এলাকার কৃষকদের সঙ্গে জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, এই ক্যানেল পরিষ্কার করতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা প্রয়োজন। গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে সেই টাকা নেই। অর্থের জন্য বিডিওর কাছে যাব। দ্রুত কৃষকদের সমস্যা মেটানো হবে। নিজস্ব চিত্র