• হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টায় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: ফাঁসিদেওয়া থানায় হেফাজতে থাকা মহিলার আত্মহত্যার চেষ্টার পর মৃত্যুতে ময়নাতদন্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসারত অবস্থায় খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত মহিলাটি মারা যায়। কিন্তু বুধবার ফরেন্সিক বিভাগের সিনিয়র ফ্যাকাল্টি না থাকায় ময়নাতদন্ত স্থগিত রাখতে হয়। হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিকের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনায় ময়নাতদন্তের জন্য যে টিমের প্রয়োজন, তা আমাদের মেডিক্যাল কলেজে নেই। কারণ, পুলিস হেফাজতে থাকাকালীন কারও মৃত্যু হলে সেই দেহের ময়নাতদন্তের জন্য সিনিয়র ফ্যাকাল্টি মেম্বার থাকতে হয়। আমাদের ফরেন্সিকে সেই ফ্যাকাল্টি নেই। এজন্য এদিন ময়নাতদন্ত হয়নি। 


    এদিকে এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পুলিস মহল। হেফাজতে থাকা আসামীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় ফাঁসিদেওয়া থানার একাধিক পুলিস আধিকারিক ও কর্মীর ভূমিকা। থানায় নূন্যতম নজরদারি থাকলে এরকম ঘটনা এড়ানো যেত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পুলিসকে এই ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তের মুখেও পড়তে হতে পারে খবর। 


    মেয়ের মৃত্যুতে মা শেফালি শিকদার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার। থানায় তার মেয়েকে চরম অত্যাচার করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। মঙ্গলবার পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানিয়েছিলেন, এসিজেএম-এর নির্দেশমতো তদন্ত চলবে। যদিও এদিন একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 


    গত শুক্রবার অন্তঃসত্ত্বা সিভিক ভলান্টিয়ার ননদকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বউদি চিরতা দেবনাথ। এরপর বিচারকের নির্দেশে তার সাতদিনের পুলিস হেফাজত হয়। রবিবার দুপুরে শৌচালয়ে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই মহিলা। দু’দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এই ধরনের ঘটনায় ময়নাতদন্ত জটিলতা বৃহস্পতিবার কাঁটবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে গিয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)