নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, বাগডোগরা: আবার চাই ‘এয়ার স্টাইক’। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ সেনা অফিসার ব্রিজেশ থাপার মৃতদেহে বুধবার শিলিগুড়ি পৌঁছতেই এমন দাবি ওঠে। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি এমপি রাজু বিস্তা থেকে দেশের প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে ফুল দিয়ে, বিউগল বাজিয়ে শহিদকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকলের চোখেই ছিল জল। নিজেকে সামলে আম জনতাকে সেনা বাহিনীর পাশে থাকার আর্জি জানান শহিদের মা নীলিমা থাপা।
দুপুরে দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে সেনা অফিসারের কফিনবন্দি দেহ আসে বাগডোগরায়। ১০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে ত্রিরঙ্গায় মোড়া কফিনবন্দি দেহ ফুলের মালায় সাজিয়ে সেনা ট্রাকে চাপিয়ে আনা হয় সেনা ছাউনিতে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানান দার্জিলিংয়ের এমপি, প্রাক্তন বিদেশ সচিব। সাংসদ বলেন, শহিদ ক্যাপ্টেন ব্রিজেশের পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা সমবেদনা জানাই। নিশ্চিন্ত থাকুন, যে দেশ জঙ্গিদের জন্ম দেয়, আশ্রয় দেয় তাদের সঙ্গে আপস করবে না আমাদের সরকার। তবে জঙ্গি দমনে আরও একবার এয়ার স্টাইক দরকার, বলেই মনে করি। প্রাক্তন বিদেশ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সন্ত্রাসবাদ নিকেশে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। এবারও সরকার কড়া বার্তা দেবে বলে আশাবাদী। ক্যাপ্টেনসহ জওয়ানদের মৃত্যুর বদলা নেওয়ার দাবি সাধারণ মানুষও করেছে।
এদিকে, রীতি মেনে ক্যাপ্টেনকে গার্ড অব অনার দেয় সেনা। শ্রদ্ধা জানান ত্রিশক্তি ক্রপসের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জুবিন এ মিনওয়ালা। তখন বাজানো হয় বিউগল। এরপর জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তা ছেত্রী, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল, পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ, শিলিগুড়ির এসডিও অবধ সিঙ্ঘাল শ্রদ্ধা জানান। শোকে কাতর হয়ে পড়েন শহিদের পরিবারের সদস্যরা। ক্যাপ্টেনের মায়ের চোখেও ছিল জল। নিজেকে সামলে তিনি বলেন, ছেলের মৃত্যুতে কষ্ট হচ্ছে। তবে ও দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। সকলকে বলব, সেনার পাশে থাকুন। ওরা সীমান্তে থাকায় আমরা নিরাপদে আছি। সেনা বাহিনীতে ছেলেদের ভর্তি করান।
এদিন সেনা ছাউনিতে শায়িত থাকে ক্যাপ্টেনের মৃতদেহ। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক পথে আদি বাড়ি দার্জিলিংয়ের গিয়ং গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার জঙ্গলে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ব্রিজেশের মৃত্যু হয়েছে।