• খুচরো বাজারে সব্জির দাম এখনও ‘আগুন’
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব্জির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ৯ জুলাই বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সেই বিশেষ প্রশাসনিক বৈঠকে ১০ দিনের মধ্যে দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১০ দিনের সময়সীমা পার হওয়ার আগেই খুচরো বাজারে অধিকাংশ সব্জির দাম কিছুটা কমেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি। বৃষ্টির মাত্রা  বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে সব্জির জোগান বেড়ে যাওয়া ও সরকারি নজরদারির কারণে দাম কমেছে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। 


    দাম কিছুটা কমলেও বাজারদর নিয়ে মানুষ এখনও পুরোপুরি স্বস্তি পাননি। অভিযোগ, খোলা বাজারে দাম এখনও বেশ চড়া। আলু, পেঁয়াজ সহ কয়েকটি সব্জির দাম বিশেষ কমেনি। টম্যাটো, লঙ্কা প্রভৃতির দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পাইকারি বাজারে দাম যতটা কমেছে তার প্রতিফলন খুচরো বাজারে ততটা পড়েনি। সূত্রের খবর, নবান্নের বৈঠকের আগে হিমঘর থেকে প্রতি কেজি ভালো মানের জ্যোতি আলু বের হচ্ছিল ২৮-২৯ টাকা দরে। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২৬ টাকায়। কিন্তু এখনও কলকাতার অনেক বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে। আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘হিমঘর থেকে যে আলু ২৬ টাকায় বের হচ্ছে কলকাতার খুচরো বাজারে তার দাম ৩২ টাকা হওয়া উচিত।’ 


    এক শ্রেণির পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরো বিক্রেতা বেশি লাভের আশায় অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। ফলে খুচরো বাজারে সব্জির দাম যতটা কমা উচিত ছিল, তা হয়নি। এ অভিযোগ স্বীকার করেছেন রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য ও এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকরা কলকাতার বিভিন্ন বাজারে অভিযান শুরু করেন। পাইকারি বাজারে দামের সঙ্গে খুচরো বাজারের দরের পার্থক্য যা হওয়া উচিত তার থেকে বেশি আছে বলে মেনে নেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাই। কমলবাবুর যদিও দাবি, তা সত্ত্বেও কয়েকদিনের মধ্যে খুচরো বাজারে কেজিতে অন্তত ১৫-২০ টাকা দাম কমেছে রাজ্যে উৎপাদিত সব্জির।  কিন্তু টম্যাটো, বাঁধাকপি, বিনস, ক্যাপসিকাম প্রভৃতি সব্জির পুরোটাই ভিন রাজ্য থেকে বেশি দামে আসছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ আইনে নির্দিষ্ট দামে কোনও বিক্রেতাকে সব্জি বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা প্রশাসনের নেই। বিক্রেতাকে তাঁরা ন্যায্য দাম নেওয়ার জন্য ‘অনুরোধ’ করতে পারেন মাত্র। কর্তাদের বক্তব্য, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব্জির মধ্যে শুধু আলু ও পেঁয়াজের মজুতের উর্ধ্বসীমা বেধে দিতে পারে। কিন্তু সেটাও এখনও করা হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)