• বরাদ্দ ৭২৭ কোটি, বাইপাস-নিউটাউন ফ্লাইওভারের কাজ শুরু শীঘ্রই
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। কেটে গিয়েছে ছ’বছরেরও বেশি সময়। কখনও পরিবেশগত ছাড়পত্র নিয়ে জটিলতা, কখনও আবার টাকার জোগান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফলে ইএম বাইপাসের উপর মেট্রোপলিটন ক্রসিং থেকে নিউটাউন পর্যন্ত ফ্লাইওভার তৈরির কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এবার আর কোনও বাধা রইল না। আগেই প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মিলে গিয়েছে। এবার এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও করে ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একই সঙ্গে রাজ্য অর্থদপ্তরের তরফে কাজ শুরুর আর্থিক অনুমোদনও দেওয়া হল কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে (কেএমডিএ)। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রকল্পের কাজে ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্যের অর্থদপ্তর। 


    সূত্রের খবর, অর্থদপ্তরের অনুমোদনের পর দরপত্র ঢাকার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দ্রুত দরপত্র ডাকার কাজ শেষ করা হবে। কারণ এর মাধ্যমে নির্মাণকারী সংস্থা ঠিক হলেই সরেজমিনে কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। ফলে এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে দাঁড়াল দরপত্র ডাকার কাজ। 


    প্রস্তাবিত এই ফ্লাইওভার এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ফ্লাইওভার তৈরি হয়ে গেলে কলকাতা থেকে খুব কম সময় দমদম বিমানবন্দর পৌঁছন যাবে। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই ফ্লাইওভার বা সেতুটির একটি মুখ শুরু হবে মেট্রোপলিটন ক্রসিং থেকে। অর্থাৎ মা ফ্লাইওভার থেকে নেমেই ফের উঠে যাওয়া যাবে এই এলিভেটেড করিডরে। তারপর ব্রিজটি চিংড়িঘাটা ক্রসিং, সল্টলেক বাইপাস, সেক্টর ফাইভ হয়ে মহিষবাথান-নিউটাউনের সীমানায় গিয়ে শেষ হবে। নিউটাউনের সিজি ব্লকের স্ট্রিট ২২২২ নম্বর পর্যন্ত যাবে ফ্লাইওভারটি। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে সরাসরি গাড়ি নিয়ে উঠে পড়া যাবে এই ফ্লাইওভারে। এই সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই সেতু থেকে সেক্টর ফাইভের নীচের রাস্তাকে যুক্ত করা হবে।


    কাজ শেষ হবে কবে? কবে থেকে যান চলাচল করবে এই সেতুতে? ইঞ্জিনিয়াররা জানান, পাঁচ বছরের সময়সীমা ধরে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এত বড় মাপের কাজ পাঁচ বছর আগে শেষ করা কোনওমতেই সম্ভব নয়। তার উপর সেক্টর ফাইভে বেশি সময় লাগার কথা। তবে অকারণে যাতে দেরি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে এই সেতু তৈরি নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। শুরুতে এই সেতু তৈরির কথা ছিল কেএমডিএ’র। মাঝে সমস্ত ফাইল চলে আসে পূর্তদপ্তরে। তারপর ফের প্রকল্পের দায়িত্ব কেএমডিএ’কে ফিরিয়ে দেয় নবান্নের শীর্ষমহল। এই পরিস্থিতিতে কাজ দ্রুত শুরুর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
  • Link to this news (বর্তমান)