বারুইপুরের স্কুলছাত্রের হাত ভাঙার চিকিৎসায় গাফিলতি, কাঠগড়ায় এন আর এস
বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এন আর এস মেডিক্যাল কলেজে এক স্কুলছাত্রের হাত ভাঙার চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিরাট গাফিলতি হয়েছে। এমনই অভিযোগ জয় মণ্ডল নামে বারুইপুরের মল্লিকপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্র ও তার পরিবারের। স্থানীয় আকনা গ্রামের বাসিন্দা ওই পরিবারের মূল অভিযোগ তিনটি। প্রথমত, হাত ভাঙার চিকিৎসার সময় বারবার গিনিগিপের মতো হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের পরীক্ষা-নিরীক্ষার শিকার হয়েছে জয়। রোগীর অমানুষিক কষ্টকে থোড়াই কেয়ার করে এক-দু’বার নয়, তিনবার প্লাস্টার করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ওই ছাত্র আপত্তি জানালে ও ব্যথায় কষ্ট পেলে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। তৃতীয়ত, স্টোরে না পাওয়া ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে গেলে ওয়ার্ড থেকেই বলে দেওয়া হচ্ছে, কোন দোকান থেকে কিনতে হবে। জয়ের বাবা দীপক মণ্ডল ও মা অঞ্জলি মণ্ডলের দাবি, হাতে কীভাবে প্লাস্টার করতে হয়, ছেলেকে গিনিপিগ বানিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের তাই হাতেকলমে শেখাচ্ছিলেন বড় ডাক্তাররা। এটা কোনও কথা হল? গোটা ঘটনার প্রতিবাদে ওই পরিবারের তরফে হাসপাতালে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। এন আর এস অধ্যক্ষ ডাঃ পীতবরণ চক্রবর্তী ফোন না ধরায় প্রতিক্রিয়া মেলেনি। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাঃ শান্তনু সেন বুধবার বলেন, অভিযোগ গুরুতর। অধ্যক্ষ এবং সুপারকে খোঁজখবর নিয়ে জানাতে বলা হয়েছে।