লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, সুফল বাংলার স্টল নিয়ে আরও প্রচার চাইছেন বারাসতবাসী
বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নাকাল মানুষ। সব্জির দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ঘূর্ণিঝড় ও আবহাওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ। তবে স্বল্পমূল্যে সাধারণ মানুষের হাতে সব্জি ও ফল তুলে দেওয়ার জন্য সুফল বাংলার স্টল বা গাড়ি চালু রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেগুলির অবস্থা কী, সেটাই এখন চর্চার বিষয় উত্তর ২৪ পরগনায়।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ভ্রাম্যমাণ সুফল বাংলার স্টল রয়েছে মোট ১২৫টি। এছাড়া জেলায় মোট ১২টি সুফল বাংলার স্টল রয়েছে, যেখানে সব্জির পাশাপাশি পাওয়া যায় নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রীও। এইসব স্টলের মালিকরা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সব্জি কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করেন। এটাই সরকারি নির্দেশ। অভিযোগ, বর্তমানে এই সুফল বাংলার পরিষেবা তলানিতে। তবে বুধবার বারাসত শহরে একটি সুফল বাংলার ভ্রাম্যমাণ স্টল বের হয়। ক্রেতার ভিড় ছিল যথেষ্ট।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার চিত্র বসু বাজারে রয়েছে একটি সুফল বাংলা স্টল। কিন্তু সেখান থেকে কেউই সব্জি কেনেন না। বেশি দাম হলেও পাশের বাজার থেকে মানুষ সব্জি কেনেন। প্রায় সময় এই স্টল থাকে শুনশান! তবে ওই স্টলে মুদিখানা সামগ্রী বিক্রি হয়। প্রচার হলে এখানে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছে স্টল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, বারাসত শহরের বনমালিপুরে সরকারি আবাসনে রয়েছে সুফল বাংলা স্টল। দীর্ঘদিন ধরে তা বন্ধ হয়ে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর তা চালু করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দপ্তরের আধিকারিক সুশান্ত মণ্ডল বলেন, কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে স্টল বন্ধ ছিল। কিন্তু আমরা তা চালু করেছি।
বারাসতের বাসিন্দা দীপককুমার কুণ্ডু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সুফল বাংলাকে সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সুফল বাংলার স্টল কোথায় রয়েছে, কেউই জানেন না। ফলে, মানুষকে বাজারে গিয়ে হাত পুড়িয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। একই কথা প্রিয়া দাসের। খেদের সুরে তিনি বলছেন, ভ্রাম্যমাণ সুফল বাংলার স্টল রয়েছে শুনেছি। কিন্তু তা কোথায়! সরকার উদ্যোগ নিলেও নিচুতলায় কিছু সমস্যার কারণে মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দুয়ারে সরকার নিয়ে বড় বড় করে প্রচার হলেও সুফল বাংলা নিয়ে সেভাবে কোনও প্রচার হয় না।
এনিয়ে অবশ্য জেলা প্রশাসনের কেউই মুখ খুলতে চাননি। সাধারণ মানুষের একটাই দাবি, প্রশাসন রাজ্য সরকারের এই পরিষেবা মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। না হলে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই পরিষেবা থেকে মানুষ বঞ্চিত হবে।