• তৈরি নয় বাসস্টপ, নিকাশি সমস্যা মেটেনি, কাজ বাকি উড়ালপুলেরও
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, বারাকপুর: বার বার দিন আশ্বাস সত্ত্বেও সময়ে শেষ করা যায়নি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। জলের লাইন সরানো এবং উড়ালপুল তৈরির কাজ বাকি থাকায় এই বিলম্ব। যদিও আগস্ট মাসের মধ্যে সমস্ত উড়ালপুলের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে নির্মাণকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। রাস্তার ধারে রেলিং তৈরি করা, আলো লাগানোর কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলিও শেষ হবে ওই সময়ের মধ্যে। ২৮টি জায়গায় ৫৬টি বাসস্টপ হবে। পাঁচটি টয়লেট ব্লক তৈরি করা হবে। ইছাপুর খালের সামনে ২০০ মিটার ট্রাকের আলাদা বে হবে। তৈরি হয়েছে টোল প্লাজা। সবকিছু মিলিয়েই মুড়াগাছা থেকে কাঁপা পর্যন্ত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন আগামী অক্টোবর মাসে অর্থাৎ পুজোর সময় হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।


    তবে বিরাটিতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগকারী উড়ালপুলের কাজ শেষের সময়সীমা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাস ধরা হয়েছে। তা সম্পূর্ণ হলে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কল্যাণী পর্যন্ত বিনা স্টপেজে আধ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে গাড়ি।  


    উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাসে ১ হাজার ২২৪ কোটি টাকা খরচ করে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে নতুন করে তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়। রাস্তাটি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্টেট হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে। তিনটি সংস্থাকে এই রাস্তা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের টাকায় তৈরি হওয়া এই রাস্তার কাজ মুড়াগাছা থেকে কাঁপা পর্যন্ত প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। ঝাঁ চকচকে এই রাস্তা তৈরি করতে আড়াই বছর টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার জন্য এক বছর তা পিছিয়ে যায়। এছাড়া জল নিষ্কাশনের সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে এই রাস্তায়। ৫০০ মিটার অন্তর ৬৬টি কালভার্ট তৈরি করা হলেও পশ্চিম দিকে জল পূর্ব দিকে যাচ্ছে না। রাস্তাটি আগের তুলনায় অনেকটা উঁচু হয়ে যাওয়ায় জল নিকাশের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে কেএমডিএ, সেচদপ্তর, পুরদপ্তর, পূর্তদপ্তর এবং স্টেট হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন, নির্মাণকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা যৌথ পরিদর্শন করেছেন। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। 


    এছাড়া রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, যে ঠিকাদারি সংস্থা আলো লাগানোর দায়িত্ব পেয়েছে, পাঁচ বছর তাকে বিদ্যুতের বিল দিতে হবে। টয়লেট সংস্কার, বৃক্ষরোপণ এবং মেরামতির দায়িত্ব পাঁচ বছর পালন করতে হবে ঠিকাদারকে। 


    হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন কুমার বলেন, করোনার কারণে আমরা এক বছর পিছিয়ে গিয়েছিলাম, তাছাড়া পাইপলাইন সরানোর জন্য কাজ শেষ করতে সমস্যা হচ্ছে। দু’টি উড়ালপুলের কাজ এখনও বাকি আছে। আগামী মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। রাস্তা তৈরির কাজ দ্রুত হয়। কিন্তু আনুসঙ্গিক কাজে বেশ কিছুটা সময় লাগে। সব কাজ শেষ করে অক্টোবর মাসে চালু হয়ে যাবে নবরূপে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)